কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫
আপনি যদি কোরবানি দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে আজকে কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫ সম্পর্কিত অনেক তথ্য আজকের আর্টিকেলের বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রত্যেকটি মুসলিম ব্যক্তির কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫। কারণ হলো পবিত্র ঈদ উল আযহার বড় একটি অংশ হল কোরবানি করা। আর এই সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা আজকের পোস্টে পেয়ে যাবেন। তাই বিস্তারিত জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলি জানা জরুরী
মুসলিমদের বড় একটি উৎসব ঈদ-উল-আযহা। যাকে আমরা বলে থাকি কোরবানির ঈদ। যে ঈদে প্রত্যেকটা মানুষেরই সখ থাকে একটি পশু আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করা। এটি মূলত হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর স্মরণে পালন করা হয়।
কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলি জানা জরুরী সেগুলো প্রত্যেকটি মুসলিম ব্যক্তির জানা দরকার। এর কারণ হলো কোরবানির পশু যদি নিখুঁত না হয় তাহলে কোরবানিটি হয় না এজন্য কোরবানির পশু কেনার সময় অবশ্যই নিখুঁত কোন পশু কিনতে হবে।
ঈদুল আযহার বড় একটি অংশ হচ্ছে কোন নিখুঁত পশু কোরবানি করা। এটি সর্বদাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি করা হয়। এবং এই ঈদে কোরবানি করার মাধ্যমে মুসলমান মানুষজন আনন্দ করে। ঈদুল আযহার কোরবানি একটি বড় অংশ।
প্রত্যেকটি মুসলিম মানুষের জানা উচিত কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫ সম্পর্কে কারণ এটি একটি পবিত্র উৎসব এর মধ্যে একটি। তাই অবশ্যই প্রশ্নটিকে নিখুঁত হতে হবে কোরবানির জন্য।
পশু কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে পশুটি শারীরিকভাবে সক্ষম আছে তার শরীরে কোন প্রকার অক্ষমতা বা কোন খুত আছে কিনা এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এর কারণ হলো কোন অসুস্থ বা খুত সমৃদ্ধ কোন পশু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি কবুল হয় না।
কোরবানী করা ফরজ নাকি সুন্নত
অনেকেই জানেনা কোরবানি করা ফরজ নাকি সুন্নত তাদের অবশ্যই জানা উচিত যে প্রত্যেকটি সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। ওয়াজিব মানে হল এমন একটি কাজ যা করতেই হবে আর না যদি করেন তাহলে তাহলে পাপ হবে। তবে এটা সম্পূর্ণভাবে ফরজ নয়।
কোরবানি করা ওয়াজিব যা হল ফরযের নিচের ধাপে অবস্থিত। হানাফি মাযহাব অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি নিজের দেওয়া কয়েকটি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন রূপে থাকে তাহলে তার জন্য কোরবানী দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যায়। কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো-
- নিজের বাড়িতে বসবাস করে এমন হতে হবে।
- সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে।
- অবশ্যই তাকে মুসলিম ব্যক্তি হতে হবে।
- ৭.৫ তোলা সোনার অধিকারী এবং ৫২.৫ তোলা রুপার অধিকারী হতে হবে।
যদি কারোর মধ্যে উপরের দেওয়া বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পন্ন এবং সঠিকভাবে থাকে তাহলে তার জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যায়। এছাড়াও হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করলো না সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকট না আসে এই হাদিসটি ইবনে মাজাহ ৩১২৩ বর্ণিত আছে।
তাই হাদিস মোতাবেক উল্লেখিত আছে যে যার সামর্থ্য আছে তাকে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে কোন একটি হালাল পোশু। আর যদি সেই কোরবানি না করে তাহলে তার ঈদের নামাজ কবুল হবে না। এই হাদীসটি সম্পর্কে ইবনে মাজাহ তে বলা আছে।
কোরবানির ইতিহাস ও তাৎপর্য
কোরবানি হলো ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা ভক্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় করা হয়। কোরবানির সূচনা হয় হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর সময় থেকে। হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে স্বপ্নে তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল আঃকে কোরবানি করার নির্দেশ দেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
স্বপ্নটি কয়েকবার দেখার পরে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম বুঝলেন যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা তার জন্য বড় একটি পরীক্ষা। তিনি নির্দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়ে যান। কে তার পুত্র ইসমাইল আঃ কে কোরবানির জন্য তিনি নিজেও রাজি হয়ে যায়।
তিনি সম্পূর্ণভাবে রাজি হয়ে যান শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। এক পর্যায়ে তিনি তার পুত্রকে কুরবানী করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান ঠিক তখনই আল্লাহতালা একটি বড় দুম্বা পাঠিয়ে দিলেন হযরত ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর জায়গায়। তৎক্ষণাৎ ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর জায়গায় সেই দুম্বাটি কোরবানি হয়ে যায়।
এভাবেই হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মুসলিম জাতির জন্য একটি চিরন্তন উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনা স্মরণেই মুসলমানরা প্রতিবছর কোরবানির প্রথমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করে। কোরবানি শুধু ও সুজমায় নয় বরং এটা একজন মুমিনের আল্লাহর প্রতি অনুগত ভালোবাসা ও ত্যাগের পরিচয়।
কোরবানির মাধ্যমে ধনী ও গরিবের মাঝে সবার দু সৃষ্টি হয় এবং সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার শিক্ষা পাওয়া যায়। এইজন্য প্রতিবছর আল্লাহর অনুগত্য লাভের আশায় একটি হালাল পশু কোরবানি করা হয়। প্রতিবছর পালন করা হয়।
কোরবানির জন্য হালাল পশু নির্বাচন
কোরবানির জন্য হালাল পয়সা নির্বাচন করা খুবই জরুরী একটি বিষয় এর কারণ হলো যেহেতু পশুটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি করা হয় এই প্রশ্নটিকে অবশ্যই হালাল উপায়ে নির্বাচন করতে হবে এর কারণ হচ্ছে প্রশ্নটি সম্পূর্ণভাবে শারীরিক এবং সব দিক দিয়ে সুস্থ হতে হবে।
কোন প্রকারে যদি পশুটি অসুস্থ বা তার শরীরে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেই পশুটি কোরবানির জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। হালাল পশু বলতে বোঝানো হয় যে পশুটি কোরবানির জন্য যথেষ্ট বড় হয়েছে কিনা এর কারণ হলো কোন বাচ্চা পশুকে কুরবানী করা নিষিদ্ধ আছে।
গরু এবং মহিষ কোরবানির ক্ষেত্রে তাদের বয়স কমপক্ষে দুই বছরের কাছাকাছি হতে হবে।ছাগল ও ভেড়ার ক্ষেত্রে তাদের বয়স কমপক্ষে এক বছরের কাছাকাছি হতে হবে এর কম হলে সেই প্রশ্নটি কোরবানির জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
অনেকে আছে যারা শখ করে উট কোরবানি দেয়। উটের ক্ষেত্রে তার বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে এর কম হলে সেই প পশুটি কোরবানির জন্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এবং কোন পশু কেনার পর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে প্রশ্নটি শারীরিকভাবে সুস্থ আছে কিনা যদি সে অসুস্থ হয় তাহলে সে পশুটি না কেনাই ভালো।
পশু কেনার আগে অবশ্যই পশুর স্বাস্থ্য এবং শরীর ভালো হবে চেক করে নিতে হবে এর কারণ হচ্ছে কোন প্রকার খোঁড়া বা হাত-পায়ে সমস্যা এছাড়াও চোখের সমস্যা থাকলে সেই প্রশ্নটি কোরবানির জন্য উপযুক্ত হবে না। এক্ষেত্রে পশুটি না কেনাই উচিত।
শুদ্ধ উপায়ে লালিত পশু চেনার কৌশল
কোরবানির জন্য হালাল ও শুদ্ধ উপায়ে লালিত পশু ক্রয় করতে হয়। এর কারণ হলো ঈদ উল আযহার দিনে আমরা সকলে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টির জন্য তার নামে যে পশুটি কোরবানি করব সেই পর অবশ্যই হালাল হতে হবে।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী তাদের নিজেদের নামের আশায় পশুদের বিভিন্ন উৎস ও উপায়ে লালন পালন করে যার ফলে বয়সের তুলনায় অল্প দিনে স্বাস্থ্যবান হয়ে যায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ তাই এই অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচতে হলে হালাল ও শুদ্ধ উপায়ে লালিত পালিত পশু চেনার কিছু কৌশল জেনে রাখা উচিত।
যেকোনো পশু কেনার সময় প্রথমে পশুগুলোর দাঁত দেখে বয়স আন্দাজ করতে হবে। এরপরে বয়সের সাথে পশুটি স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি যা আপনার পরিচিত এমন কাউকে নিয়ে যেতে পারেন সাথে করে।
যদি মানুষের সাথে স্বাস্থ্য ঠিক না থাকে তাহলে সেই প্রশ্নটি একদমই কিনবেন না এরপর প্রশ্নটিকে কোন ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়েছিল ছোট থেকে এই সকল তথ্য বিস্তারিত জেনে নিন। এরপরে আপনার কাজ হবে প্রশ্নটির আচরণগুলো লক্ষ্য করা যদি।
পশুটি অতিরিক্ত শান্ত স্বভাবের হয় বা অতিরিক্ত উত্তেজিত মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে পশুটিকে হালাল উপায়ে লালন পালন করা হয়নি সব থেকে ভালো হয় কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে পশু কেনার সময় সঙ্গে নিয়ে যাওয়া।
পশুর শারীরিক সমস্যা যাচাইের কৌশল
কোরবানির জন্য পশু ক্রয় করলে অবশ্যই সে পশুটি যাচাই করে নিতে হবে ছাড়াও কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫ অনুসারে। এর কারণ হলো বর্তমানে সময়ে অনেক শারীরিক ত্রুটি সম্পন্ন পশু বাজারে বিক্রি হয়।
এছাড়াও যারা কোরবানির পশু কেনে তাদের জন্য কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫ সম্পর্কে আগে থেকেই জানা উচিত। এর কারণ হচ্ছে আপনি যদি কোরবানির উদ্দেশ্যে প্রচুর ক্রয় করতে চান তাহলে অবশ্যই শারীরিক ঘটে যাচাই করি করতে হবে কোরবানির পশুর যদি কিছু শারীরিক ত্রুটি থাকে তাহলে সেই খুশিটি কোরবানির জন্য জায়েজ হবে কিনা এই নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
তাই আমাদের সবসময় শারীরিক পশু কেনার চেষ্টা করতে হবে এখন আমরা কিছু পশুর শারীরিক ত্রুটি সম্পর্কে জানব
- পশুর স্বাভাবিক খাবার না খাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে বেশি খাওয়া।
- স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে এমন পশু।
- কানে অতিরিক্ত ময়লা বা পুঁজ থাকলে সেই পশু।
- পায়ের খুঁড়ে ইনফেকশন হওয়া পশু।
- নাক দিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে এমন পশু।
- পশুর পিঠ অতিরিক্ত ফলা বা স্বাভাবিক আকারে বড়।
- অসুর চামড়া ক্ষত লোম ধরে যাওয়া এমন
- যদি অস্বাভাবিক আচরণ থাকে তাহলে সে পশু ত্রুটি যুক্ত।
এ ধরনের সমস্যা থাকলে সে পশুটি না কেনাই উত্তম ভালো হবে। কোরবানির পশু যদি রুটি পূর্ণ হয় এক্ষেত্রে কোরবানি জায়েজ না ও হতে পারে। এজন্য কোরবানির পশু কেনার সময় অবশ্যই কোরবানির প্রস্তুতি শারীরিক অবস্থা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে নিতে হবে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নেওয়া উচিত।
পশু কেনার জন্য ভালো হাট নির্বাচন
কোরবানি দেওয়া মুসলিমদের জন্য অত্যন্তপবিত্র একটি উৎসবের বড় একটি অংশ। অবশ্যই কোরবানির পশু কেনার সময় সবচেয়ে ভালো হাট নির্বাচন করতে হবে। এমন হাট নির্বাচন করতে হবে যেখানে কোরবানির পশুর জন্য সুনাম রয়েছে।
সঙ্গে জড়িয়ে আছে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর স্মৃতি হজরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম ত্যাগের পরীক্ষায় চূড়ান্ত পর্বে নিজের সন্তানের গলায় হারালো খঞ্জর চালিয়েছিলেন তার এই আত্মত্যাগ আল্লাহর কাছে এতই প্রিয় হয়ে উঠেছিল যে কেয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের উপর সেই ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্মৃতির অনুশীলনে কুরবানী করা ওয়াজিব।
কোরবানির পশু কেনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে সেটি এমন বাজার হতে হবে এখান থেকে যাতায়াতের সুবিধা ভালো হয় কেননা আমরা জানি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোরবানির পশু মহিষ গরু অথবা উট জাতীয় হয় নতুন জায়গায় পশু স্বাভাবিকভাবে অস্থির আচরণ করে।
যার ফলে পশুকে আয়ত্তে আনা খুবই কঠিন হয় তাই এমন বাজার নির্বাচন করতে হবে যাতে পশু নেওয়ার সময় যানবাহনের সরাসরি বাজারে আশেপাশে নিয়ে যাওয়া যায় এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য এই উপায়টি অবলম্বন করায় উত্তম হবে।
কোরবানির পশু কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে ভালো মানের হাট থেকে এই পশু কেনা উত্তম। যেখানে কোরবানির পশুর জন্য অনেক সুনাম রয়েছে এমন কোন হার্ট নির্বাচন করায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
দাঁত দেখে পশুর বয়স নির্বাচন
পশু কেনার জন্য অবশ্যই খুব ভালোভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে কিনতে হবে। এর কারণ হলো ইসলাম সম্পর্কে সকল মুসলিমদের জানাই অনেক বেশি দরকার এছাড়াও দরকার কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫ এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা।
সাধারণত গরুর ক্ষেত্রে এক বছর থেকে দেড় বছর এর মধ্যে দুধ দাঁত উঠে যায় আর দুই বছরের মধ্যে গরুর স্থায়ী দাঁত বের হয়। সাধারণত বধুর সামনের দুটি দাঁত স্থায়ী গরুর বয়স দুই বছর বলে ধরা হয় তখন।
অপরদিকে ছাগল বা ভেড়ার সামনে যদি একজোড়া স্থায়ী দাঁত থাকে তাহলে তার বয়স এক বছর থেকে দেড় বছর বলে ধরা হয় আর যদি ২ জোড়া স্থায়ী কাজ থাকে তাহলে দুই বছর ধরা হয়। যারা গরু ু বা কোরবানির পশু কিনতে যায় তাদের এগুলো বিষয় খুব ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
উটের ক্ষেত্রে আলাদা ধরনের হয়। উট একটি ভিন্ন দেশীয় প্রাণী হওয়ায় কারণ এর দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা একটি জটিল বিষয়। উটের দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা একটি জটিল ও কঠিন বিষয় হওয়ার কারণে এর জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। সাধারণত উটের প্রথম দাঁত সাদা এবং ছোট আকৃতির হয় এবং পরবর্তীতে বের হলে সেগুলো বড় আকৃতির এবং কিছুটা হলদে হয়।
কোরবানি সম্পর্কিত কিছু হাদিস
কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫। কোরবানি সম্পর্কিত কিছু হাদিস সকলেরই জানা উচিত যারা মুসলিম তাদের জন্য। কারণ হলো ঈদ উল আযহার বড় একটি অংশ হল কোরবানি। এই কোরবানি সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত আছে।
কোরবানি সম্পর্কে হযরত মিখজাফ ইবনে সালেম রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সমবেত লোকদের সম্মোধন করে এ কথা বলতে শুনেছি যে লোক সকল তোমরা জেনে রাখো প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা কর্তব্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রতিবছর কোরবানী করতেন এবং সকল সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের কোরবানি দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। হযরত ইবনে আব্দুল্লাহ ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত মদিনার ১০ বছর জীবন থেকে প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন।
এছাড়াও কোরবানির সাথে জড়িত আছে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লামের ত্যাগ এর পরীক্ষা । তিনি তার সন্তানের গলায় খঞ্জর চালিয়েছিলেন। আর সেই তাদের দৃষ্টান্ত আমরা প্রতিবছর কোরবানির মাধ্যমে স্মরণ করে রাখি।
এছাড়াও হাদিসে বর্ণিত আছে যে সামর্থ্যবান কোন ব্যক্তি যদি কোরবানি না দেয় তাহলে সে যেন নামাজের জন্য মসজিদে না আসে। অর্থাৎ সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য কোরবানি দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কোরবানিকে ইসলাম মোতাবেক ওয়াজিব বলা হয়।
পরিশেষে
মুসলিমদের তাকওয়া অর্জনের জন্য প্রতিবছর কোরবানি দেওয়া হয় হালাল পশুকে। এই জন্য কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫। প্রত্যেকটি মুসলিম ব্যক্তিদের কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি ২০২৫।
কোরবানি সম্পর্কিত কিছু হাদিস কোরবানির পশু কেনার জন্য কিছু পরামর্শ আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি করে কোরবানি সম্পর্কিত অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। প্রতিদিন এমন তথ্য মূলক পোস্ট পেতে হলে www.jarinonline.com পেজটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url