জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি কোনটা বেশি জনপ্রিয় 2025
বর্তমানে চ্যাট জিপিটি দিয়ে অনেকেই কাজ করে থাকলেও জেমিনি দিয়েও কাজ করছে। ফলে অনেকেই বুঝতে পারছে না যে কোনটি দিয়ে বেশি সহজে কাজ করা যায়। আজকের আর্টিকেলে জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি কোনটা বেশি জনপ্রিয় 2025 তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে চ্যাট জিপিটি না জেমিনি কোনটা বেশি জনপ্রিয় সেটা নিয়ে অনেকেই বিতর্ক সৃষ্টি করে। ইন্টারনেটের যুগে জেমিনি ও চ্যাট জিপিটি দুটোই অনেক বেশি কাজ করে থাকেন এবং এই অ্যাপসগুলো খুব দ্রুত কাজ করে কিন্তু এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি কোনটা বেশি জনপ্রিয় 2025 জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি কোনটা বেশি জনপ্রিয়
জেমিনি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা গুগল ডিপ মাইন্ড এটি ভাষাগত প্রযুক্তি। এর পূর্ব নাম ছিল google বার্ড। তবে বর্তমান সময়ে এটার নাম পরিবর্তন হয়ে দাঁড়িয়েছে জেমিনি। জেমিনি হল একটি ভাষার মডেল এখানে বিভিন্ন ধরনের ভাষা সৃষ্টি করা হয়।
প্রথম মানুষ জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটি যা অত্যাধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত জেমিনি মানুষের ভাষা বুঝতে প্রক্রিয়া করতে এবং স্বাভাবিকভাবে সাড়া দিতে এছাড়াও মেশিনের ভাষাকে মানুষের ভাষার রূপান্তর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
যারা অনলাইনে সব ধরনের কাজ করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি কোনটা বেশি জনপ্রিয় ২০২৫ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে তাহলে খুব সহজেই তথ্য খুঁজে পেতে এবং কাজ করতে সহায়তা করবে।
চ্যাট জিপিটি প্রথম চালু হয় ২০২২ সালে। এটি চালু হওয়ার পর যে জনপ্রিয় হয়ে গেছে তা নয়। সর্বপ্রথম যখন এটি চালু হয় তখন সবার মাথায় একটি ভালো লাগা কাজ করে কারণ এটি দিয়ে যেকোনো ধরনের অনলাইন কাজ এডিট করা যাবে।
জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটি কোনটি বেশি জনপ্রিয় তা আমরা জানব। যেহেতু চ্যাট জিপিটির আগে জেমিনি এসেছে অর্থাৎ এর চাহিদা চ্যাট জিপিটির তুলনায় অবশ্যই বেশি হবে তবে নতুন নতুন কোন কিছু আবিষ্কার হলে তার ওপর সবার আক্ষেপ বেশি থাকে।
জেমিনি ও চ্যাট জিপিটি সম্পর্কে ধারনা
বর্তমান যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের মূল কারণ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে সহজ থেকে আরও সহজতর করছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জিনিসটা কি কিভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে তা আমাদের জানা দরকার।
জেমিনি হচ্ছে একটি ভাষার মডেল যা মেশিন লার্নিং এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তি সাহায্যে আমাদের যেকোনো ধরনের কাজ করে দিতে সহায়তা করে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা আমাদের ভাষা বুঝে , আমাদের অনুভূতি বুঝে এবং আমাদের কাজে সাড়া দেয়।
আজকের ডিজিটাল যুগে আমরা একে অপরের সাথে কতই না কথা বলি যার একটি নাম হোল চ্যাট জিপিতি। চ্যাট জিপিটি হল ওপেন অল নামক প্রতিষ্ঠানের তৈরি একটি মডেল। এর ফুল ফর্ম হল generative pre-trained transformer. এটি ডেটার ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যা সকল কাজে পারদর্শী।
জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটি কে আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় একেকটি মডেল বলা হয়। এগুলো সহজেই মানুষের ভাষা বুঝতে পারে, দ্রুত সারা দিতে পারে, প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের গল্প এবং রচনা সকল কিছুই এর মাধ্যমে করা যায়।
এ আই জগতে জেমিনি বনাম চ্যাট জিপিটি
এ আই জগতে জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি বেশি জনপ্রিয় তা আমরা জানব কারণ বর্তমানে এই দুইটি প্রসেস আমাদের যেকোনো ধরনের কাজ করতে বেশি সহায়তা করছে।
ডেটা স্টোরেজঃ গুগল জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটির দুইটি ডেটা স্টোরেজ থাকে।চ্যাট জিপিটি সমস্ত ডাটা সেভ রাখে স্টোরেজে। আবার google সকল তথ্য স্টোরেজে আপডেট দেয়। তাই ব্যক্তিগত কোন চ্যাট বা কোন বিষয় সেভ করার হলে সাবধানতার সাথে রাখা উচিত।
ট্রেনিং মডেলঃ চ্যাট জিপিটির ট্রেনিং মডেল দুইটি এগুলো হলোঃ জিপিটি 3.5 এবং gpt 4 এই দুইটি মডেলের মাধ্যমে চ্যাট জিপিটি কাজ করে থাকে। অন্যদিকে জেমিনির মডেল তিনটা এগুলো হলোঃ জেমিনি প্রো, জেমিনি আলট্রা, জেমিনি ন্যানো। এই তিন মডেলের কাজ করার ধরন ভিন্ন ভিন্ন।
প্রাইভেসি দেওয়াঃ এরা নাম, কন্টাক্ট নম্বর এবং কোড বিভিন্ন ধরনের লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে না এই ইউজাররা। তবে কখনো যদি দরকারের প্রয়োজন মনে করে সে ক্ষেত্রে কোম্পানি সরকারের সাথে কথা বলতে পারেন। কিন্তু google কথোপকথন লোকেশন ফিডব্যাক এ সকল তথ্য ছাড়াও কিছু কিছু তথ্য আপডেট দিয়ে থাকে।
ইউজার অভিজ্ঞতাঃ প্রতিটি অ্যাপ এ কাজ করার ধরন আলাদা কারো সাথে কারো মিল পাওয়া যায় না ঠিক তেমনি ইউজারদের অভিজ্ঞতাও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন চ্যাট জিপিটিতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করা যায়। এর ক্ষেত্রে ব্যক্তি যে তথ্য দিবে সে অনুযায়ী কাজ হবে তবে কোন কপি পেস্ট করলে সেটি সেভ হবে না চ্যাট জিপিটি টেক্সট নির্ভর এটি অন্য কোন মাধ্যমে উত্তর প্রদান করেনা।
জেমিনি ও চ্যাট জিপিটির পাঁচটি পার্থক্য
জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি বেশি জনপ্রিয় তা আমরা জানবো বিভিন্ন ধরনের তথ্যের মাধ্যমে। জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটির পাঁচটি পার্থক্য নিম্নরূপঃ
প্রেক্ষিত নির্ধারণের দক্ষতাঃ জেমিনি সবথেকে বেশি আপডেট এজন্য এ দক্ষতা অনেক বেশি এবং এটি সবথেকে বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে। প্রত্যেক ব্যবহারকারী প্রশ্নের আলাদা হতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত এমন তথ্য দিতে পারে যা অন্য সাথে মিলে যেতে পারে। জেমিনির অ্যালগরিদম আলাদা তাই এটি চ্যাট জিপিটির সাথে তথ্য মিলবে না।
তথ্যর সর্বোত্তম সংগ্রহ এবং নির্ভুলতাঃ জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটি প্রসেসটি চালু করা হয়েছে যেন ব্যক্তি সঠিক তথ্য পেয়ে থাকে তাই আমাদের উচিত সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য অ্যাপকে সঠিক কোশ্চেন করা। চ্যাট জিপিটির ডাটা প্রসেস নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ।
অন্যদিকে জেমিনির ডাটা স্টোরেজ প্রতিদিনই আপডেট হতে থাকে এজন্য এর সময়সীমা অনেক বেশি। এইজন্য এটি বাস্তব এবং প্রাসঙ্গিক সময়সীমার উপর ভিত্তি করে উত্তর দিতে সক্ষম হয় যা চ্যাট জিপিটির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ।
কনটেন্ট ও ভাষার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনাঃ জেমিনি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভাষা প্রয়োগ করা যায়। এর ক্ষেত্রে যে ভাষায় প্রয়োগ করা হোক না কেন এটি উত্তর প্রদান করতে সক্ষম হবে। বাহিরের দেশের কোম্পানি গুলোর জন্য এটি বেশি কার্যকরী এজন্য এরা জেমিনি দিয়ে কাজ করে।
জেমিনি একাধিক ভাষায় উত্তর প্রদান করতে সক্ষম হলেও চ্যাট জিপিটি একাধিক ভাষায় উত্তর প্রদান করতে পারে না। আপনি যে দেশে নাগরিক হবেন আপনাকে সে দেশের ভাষা দিয়েই চ্যাট জিপিতে কাজ করতে হবে তবেই সঠিক উত্তর পাবেন।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নয়নের জন্য দক্ষতাঃ চ্যাট জিপিটি এবং জেমিনি এই দুইটির মধ্যে সবথেকে বেশি কার্যকর এবং এর সুবিধা অনেক বেশি। জেমিনি দ্রুত গতিতে ইউজার কে তথ্য আপডেট দিতে সক্ষম এটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে যে কোন বয়সের মানুষই এটি তার উপকৃত হবে। সাধারণ মানুষের জন্য বেশি উপকৃত।
গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাঃ চ্যাট জিপিটির তুলনায় জেমিনির তথ্য নিরাপত্তার সুবিধা বেশি কারণ এদের সিস্টেম প্রসেস অনেক উন্নত তাই কোন হ্যাকার তথ্য হ্যাক করতে পারবে না এবং কোন সাইবার হামলা হলেও এতে কোন ইফেক্ট করবে না। জেমিনির গোপনীয়তা নীতিমালা অত্যন্ত শক্তিশালী। যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মবিশেষই হতে পারে।
জেমিনি এর প্রয়োজনীয়তা
জেমিনি এবং চ্যাট ডিপিটির মধ্যে জেমিনি সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। এর ক্ষেত্রে জেমিনির প্রয়োজনীয়তা গুলো হলঃ
- জেমিনি একটি ক্লাউড ভিত্তিক সেবা।
- একটি কার্যকর ভাবে কাজ করতে হলে একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন।
- এটি ব্যবহারের জন্য একটি গুগল একাউন্টের দরকার।
- এটি ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করে এবং কার্যকর ট্র্যাক করতে সাহায্য করে।
- এটি ব্যবহারের জন্য মৌলিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকতে হবে।
- এর জন্য কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা থাকে।
- এ পি আই ইন্টিগ্রেশন করার জন্য http সেবার প্রয়োজন।
- এটি ব্যবহার করার জন্য মোবাইল বা কম্পিউটার ডিভাইসের প্রয়োজন।
- এখানে ব্রাউজার বা এ পি আই ক্লায়েন্টের মাধ্যমে এক্সেস করা যায়।
- তথ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন।
- এর জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড লাগবে।
- যদি সম্ভব হয় তবে দুই ধাপ প্রমাণিকরণে ব্যবস্থা করা উচিত।
- এটি ব্যবহার করতে হলে বুঝতে হবে কিভাবে ডাটা ইনপুট করতে হয়।
- কিভাবে এই মডেলটি কাজ করে এবং এ প্রক্রিয়াকরণ কি সবকিছু জানতে হবে।
- আমাদের জীবনে সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য এবং সঠিক উত্তরের জন্য এটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
চ্যাট জিপিটির প্রয়োজনীয়তা
জেমিনির যেমন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ঠিক তেমনি চ্যাট জিপি টির ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর কয়েকটি প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপঃ
- এটি ইউজ করার জন্য চ্যাট জিপিটির ব্রাউজারে ওপেন করতে হবে।
- এটি ওপেন করার জন্য ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড লাগবে।
- এরপর ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে যা দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে।
- এরপর ওপেন অল ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করতে হবে।
- এখানে একটি chat window ওপেন হবে।
- খেয়াল করে দেখতে হবে নিচে কিছু মেসেজ বক্স থাকবে।
- উপরে প্রিমোড ইন্টারেকশন দেওয়া থাকবে।
- ইন্টারেকশন মোডে দেয়া থাকে অ্যাপটি কিভাবে ইউজ করা যায়।
- এটি ক্লিক করে কিভাবে কাজ করতে হবে তা দেখে কাজ শুরু করা যাবে।
- বর্তমানে ব্যক্তির মতামতের উপর ভিত্তি করে এটি বেশি কার্যকর হয়েছে।
- বর্তমানে এটি ইন্টারনেটের ধারণাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
- এটি একটি অত্যন্ত পাওয়ারফুল প্রসেস। যা দ্রুত কাজ করে।
- এটি মাইক্রোসফট এর সুপার কম্পিউটার অবকাঠামো ব্যবহার করে।
- চ্যাট জিপিটি কে যে কোশ্চেন করা হবে এটি সে উত্তরই প্রদান করবে।
- এই অ্যাপ্লিকেশন ইউজার অনেক সহজ।
- ওয়েব ভার্সন বাদেও এন্ড্রয়েড ও আই ও এস অ্যাপ আছে।
- সর্বোপরি এর প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনের অনেক ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
জেমিনি ও চ্যাট জিপিটির কাজ
জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটির মধ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। এই দুইটির মধ্যে কাজ যে একই রকম তা নয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিল থাকতেও পারে। জেমিনি প্রসেস একরকম এবং চ্যাট জিপিটির প্রসেস অন্যরকম। দুইটির কাজের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
জেমিনি ছবি কোড এবং ভিডিওর ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়। এটি মস্তিষ্কের মতো জটিল বিষয়গুলো কেউ সহজে রূপান্তরিত করতে পারে। যে কাজগুলো হয়তো দেখে অনেক জটিল মনে হয় যা কখনো সমাধান করা সম্ভব নয় সে কাজগুলো এটি করে থাকে।
চ্যাট জিপিটির দুইটি মডেল থাকে। এই দুইটি মডেলই অনেক শক্তিশালী যা দ্বারা অনেক পাওয়ারফুল কাজ করা যায়। এই দুইটি মডেলের কাজ একই রকম। যে মডেলকে যেভাবে প্রশ্ন করা হবে সে মডেল সেভাবে উত্তর দিবে। তবে এর ক্ষেত্রে কাজ করাটাই একটু কঠিন কারণ এর সময় সীমাবদ্ধ।
মূল কথা হচ্ছে দুইটি অ্যাপই অনেক কার্যকর। কোনটি বেশি কাজ করবে আর কোনটি বেশি কাজ করবে না সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনার সুবিধার্থে কোনটি বেশি কার্যকর হচ্ছে সেটি দ্বারাই আপনি কাজ করবেন।
চ্যাট জিপিডি আসার আগে প্রথমে জেমিনি ছিল তখন এটিই বেশি শক্তিশালী ছিল যার কারণে এর কাজ করার ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল। যেহেতু এটি আগের প্রসেস তাই এটি বেশি শক্তিশালী তবে ওয়েব ব্রাউজারে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জেমিনি এবং চ্যাট জিপিটির লাইভ
এই দুইটি অ্যাপের কিছু লাইভ রয়েছে যেগুলো দ্বারা আমরা উপকৃত হই এ লাইভে কি কি তথ্য থাকে তার নিম্নরূপঃ
- ফোনের ক্যালেন্ডার এ নতুন কিছু ইভেন্ট নিয়ে আসা।
- সহজে লোকেশন খুঁজে বের করা।
- ইনবক্স থেকে মেসেজ করা এবং উত্তর দেওয়া।
- যে ব্যবহার করছে সে ব্যবহারকারীর ধরন বুঝে তথ্য সরবরাহ করা।
- Google সার্চ এর তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য নিয়ে দ্রুত আপডেট দেওয়া।
- Open ai এর মাধ্যমে চ্যাট জিপিটি বিশাল জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- এটি বিভিন্ন ধরনের ব্লগ প্রবন্ধ রচনা কবিতা ইতিহাস লিখতে সহায়তা করে।
- প্রোগ্রামিং এর সমস্যা সমাধান করা।
- চ্যাট জিপিটি মূলত শিক্ষার্থী পেশাদার এবং সৃজনশীল কাজে যুক্ত এসব মানুষদের জন্য উপযুক্ত।
- Samsung এর নতুন ফোনে জেমিনি লাইভ যুক্ত করা হয়েছে।
- লাইভ এর মাধ্যমে ফোনের ব্যবহার আরো সহজ হবে এবং ওয়েব ব্রাউজার কে কাজ করতে সাহায্য করবে।
- দুই প্রযুক্তি ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
- লাইভ হওয়ার কারণে সুবিধা বেশি বেড়ে গেছে।
- লাইভ এর মাধ্যমে সহজে সকল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এতে ওয়েব ব্রাউজারে প্রশ্ন করতে এবং উত্তর পেতে সুবিধা হচ্ছে।
এ আই জগতে জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি সেরা
এ আই জগতে কোনটি বেশি সেরা তা আমরা জানবো। আমরা যে কাজ করছি বা আমরা যে ধরনের কাজগুলো করব সেটি করার জন্য আমাদের জানা দরকার কোনটি বেশি সেরা। কারণ সবাই চায় সঠিক তথ্য পেতে।
এটি বলা সহজ নয় তবে কিছু নিয়ামক যাচাই করা সাপেক্ষে ধারণা করা যেতে পারে কার ক্ষমতা কেমন কে সেরা কে সেরা নয়। এটি একটি এআই সিস্টেমের প্যারামিটার বা কিছু নিয়ম রয়েছে যা ভেরিয়েবল ওপর নির্ভর করে প্রশিক্ষণ পর্যায়ের মান গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
চ্যাট জিপিটির সর্বশেষ সংস্করণ হচ্ছে চ্যাট জিপিটি ৪.০। এর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি প্যারামিটার পাওয়া যায় ১.৭৫ টিলিয়ন। যদিও প্রতিবেদন অনুযায়ী জেমিনি এটি অতিক্রম করে চলে গেছে। জানা মতে জেমিনির মান ৩০ থেকে ৩৫ ট্রিলিয়ন ছড়িয়ে যাবে।
সেমি এনালাইসিস এর পরীক্ষা অনুযায়ী জানা গেছে জেমিনি বিশ্বকে হাত করে নিবে। এটি পাঁচটি ফ্যাক্টরে চ্যাট জিপিটির চাইতে ২০ গুন বেশি শক্তিশালী হবে। এখন সময় বলবে জায়গা কে নিবে চ্যাট জিপিটি নাকি জেমিনি।
এখন দুটি অ্যাপই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শীর্ষনীয় স্থানে এদের বৈশিষ্ট্য সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা আলাদা হলেও এরা একে অপরের উপর পরিপূরক। কাজের ক্ষেত্রে দুইটি অ্যাপ এর গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য দুইটি মডেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবে।
পরিশেষে
জেমিনি নাকি চ্যাট জিপিটি বেশি জনপ্রিয় এই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত জেনেছি। এছাড়াও জেমিনির কাজ কি, চ্যাট জিপিটির কাজ কি, এদের প্রয়োজনীয়তা কেমন কে বেশি সবচেয়ে জনপ্রিয় এ সকল কিছুই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবো।
এইটির মাধ্যমে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি এছাড়াও কিভাবে কাজ করলে এবং কিভাবে ব্যবহার করলে আমরা আরো বেশি লাভবান এবং উপকৃত হব তা আমরা আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবো। নিয়মিত এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url