OrdinaryITPostAd

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ডায়াবেটিস এমন একটি সমস্যা যার কারণে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলটিতে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা

ডায়াবেটিস সমস্যা আমাদের জন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। আর এটি নির্মূল করার জন্য বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়ে থাকে। সেজন্য বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে   সচেতনতা  

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা আমাদের একটি মূল্যবান বিষয় এক হয়ে এখন দাঁড়িয়েছে। ডায়াবেটিস বর্তমানে বিশ্বজুড়ে একটি নীরব ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত। অনেক মানুষ বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত হয়।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা  জানুন
অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হলেও এর ঝুঁকি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নয়। ডায়াবেটিস হলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় যা সময় মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। তাই সর্বপ্রথম এর সচেতনতা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত।

ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর খাদ্যবাস ব্যায়ামের অভাব মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত ওজন। আজকাল অনেকেই আছেন যারা জান ফুড মিষ্টি কমল পানি খাবার বেশি খেয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন।

এসব অভ্যাস পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন পাড়ে রোগটি থেকে রক্ষা করতে। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা আমরা মানতেই চায়না যে আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস আক্রমণ করেছে। কিন্তু আমাদের এই বদ অভ্যাসগুলোর পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।

ডায়াবেটিস ভালো একটি রোগ এমনটা নাও। ডায়াবেটিস খুবই মারাত্মক একটি রোগ যা আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলে। এটি আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে যার কারণে একসময় আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই আমরা সর্বদা চেষ্টা করব সচেতন থাকতে।

 বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র এটি পালন করা হয় ডায়াবেটিস রোগীদের স্মরণ করার জন্য।

প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন ও বিশেষত্ব সংস্থা যৌথভাবে এই দিনটি ঘোষণা করেছিলেন। এরপর থেকে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক হিসেবে পালন করা হয় ডায়াবেটিস রোগীদের স্মরণে।

এ দিনটি ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ মানুষকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে পালিত হয়। দিনটি বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার ফ্রেডরিক বেন্টিং এর জন্মদিনের স্মরণে নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডায়াবেটিস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য প্রতিবছরই পরিবর্তিত হয়। এটির মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন নিয়মিত পরীক্ষা এবং শোষণ খাদ্য অভ্যাসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো হয়। বিভিন্ন দেশ স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের দিনটি নানা আয়োজনের মধ্যে পালন করে থাকে।

এই দিনে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই দিনটিতে সেমিনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা রেলি ও তথ্যবহুল প্রচার প্রচারণা করা হয়ে থাকে কারণ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা মধ্যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। আর ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

ডায়াবেটিস বর্তমানে বিশ্বে অন্যতম সাধারণ ও ভয়াবহ রোগ গুলোর মধ্যে একটি ।এটি মূলত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হয় যা সময়মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে নানা জটিলতার একটি করে। তাই আমরা এ রোগ সম্পর্কে একটু সচেতন হব।

তবে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ যোগ্য। সচেতনতা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে কার্যক্রম উপায়। নিয়মিত শরীর চর্চা আমাদের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট হলেও হাঁটতে হবে।

সামান্য পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে কারণ শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নয় যারা স্বাভাবিক সুস্থ ব্যক্তি তাদের জন্য প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হাঁটতে হবে।

আমাদের খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে যে খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো পরিহার করতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কারণ মানসিক চাপ থাকলে ডায়াবেটিস কমবে না। শরীরে যতটুকু ভারসাম্য নিতে পারবে ততটুকুই ভাবনা করা উচিত।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের ইতিহাস

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা জন্য বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয় আর এর পেছনের ডায়াবেটিস দিবসের অনেক ইতিহাস রয়েছে যা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা আবার হয়তো অনেকেই জানি।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সচেতনতা দিবসগুলোর একটি। প্রতিবছরই এ দিবস পালন করা হযা। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এই দিনটি পালন করা হয়।

এই দিনটি সূচনা হয়েছিল অনেক দিন আগে আর সেই সালটা ছিল ১৯৯১ সালে তবে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এর কার্যক্রম চালু করা হয় যা পরবর্তীতে আরো বিস্তারিতভাবে এর আলোচনার মাধ্যমে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

যে সময়ে এটি চালু করা হয়েছিল তখন ডায়াবেটিস রোগীদের আবির্ভাব খুব একটা ছিল না বা অত্যাধিক পরিমাণে ডায়াবেটিস রোগীর পরিমাণ ছিল না। আস্তে আস্তে ডায়াবেটিস রোগীদের প্রাদুর্ভাব দিনদিন বেড়েই চলেছে যার কারণে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক হিসেবে নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ডায়াবেটিস দিবসকে আন্তর্জাতিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ।এরপর থেকে বিশ্বে প্রায় সব দেশে এ দিনটিকে গুরুত্বসহকারে পালন করা হচ্ছে। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মূলত এই দিনটি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সরকারি উদ্যোগ

ডায়াবেটিস এখন শুধু একটি ব্যক্তিগত সমস্যা নাই এটি একটি জাতীয় ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণের সরকার নানা উদ্বেগ গ্রহণ করেছে যাতে সাধারণ মানুষ সচেতন হয় সময়মতো চিকিৎসা নেয়।

বাংলাদেশ সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি অনুযায়ী ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ অবরধিকার দিয়েছেন। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এতে গ্রামীণ জনগণ সহজে প্রাথমিক চিকিৎসা ও সচেতনতা সেবা পাবে। সরকার বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন এর সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ডায়াবেটিস হাসপাতাল ক্লিনিক ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছেন। যেন এরা সকল ভাবে সুযোগ-সুবিধা পায়।

এইসব প্রতিষ্ঠানের রোগীদের নিয়মিত পরীক্ষা চিকিৎসা খাদ্যের পরামর্শ সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া ওষুধের মূল্য সহনীয় রাখতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি বছর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে সরকার ব্যাপক প্রচারণা জানাই।

টেলিভিশন রেডিও পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের তথ্য প্রচার করা হয়। স্কুল কলেজ ও কর্ম ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় যাতে তরুণ প্রজন্ম এ বিষয়ে সচেতন হয়। সরকারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম

ডায়াবেটিস এমন একটি দীর্ঘ মেয়াদী রোগ যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। এই রোগের কার্যকর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম। ব্যায়াম শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় যার শরীরকে সুস্থ রাখে।

ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণা থাকে যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হাটা দৌড়ানো সাঁতার কাটা যোগ ব্যায়াম বা সাইকেল চালানো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

এসব ব্যায়াম রক্তচলাচল বাড়ায় এবং শরীরকে সক্রিয় রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হলেও শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য হাঁটতে হবে। সকালে হাটা বা হালকা জোগে ইনসুলিন এর কার্যকারিতা উন্নত করে।

 তবে ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত কারণ ডায়াবেটিসের মাত্রা ও শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ব্যায়ামের ধরন নির্ধারণ করা প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম শুধু রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে না এটি হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ ও মানসিক চাপও কমায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের মানসিক প্রশান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর ব্যায়াম সেই প্রশান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়ামের মাধ্যমে ঘুমের মান উন্নত হয় যা শরীরের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ওষুধের থেকেও। তাই আমরা নিয়মিত ব্যায়াম করব।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে জাতিসংঘের ভূমিকা

ডায়াবেটিস একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা একটি না প্রতিটি দেশের মানুষকে প্রভাবিত করছে। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক উদ্বেগকে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

২০০৬ সালে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি হলো প্রথমবার যে কোন স্বল্পমেয়াদি স্বাস্থ্য সচেতনতা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটির জন্য জাতিসংঘের অবদান এসব থেকে বেশি।

এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ডায়াবেটিস মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণের দেশগুলিকে উৎসাহিত করা হয়। জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রতিবছর ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচারণা ও কর্মসূচি সমর্থন করা হয়। যা জাতিসংঘ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

বিভিন্ন শ্লোগান নির্ধারণ করে মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। জাতিসংঘের স্বীকৃতি ও সমর্থনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর নীতি প্রণয়ন করতে পারছেন। যা সম্পূর্ণ জাতিসংঘ দ্বারা নির্ধারিত।

এক কথায় জাতিসংঘের অবদান বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসকে আন্তর্জাতিক মাত্রা দিয়েছে। এটি শুধু একটি দিবস নয় বরং এটি একটি আন্দোলন যা মানুষকে সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করছে। জাতিসংঘের উদ্যোগের ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতা শক্তিশালী হয়েছে।

ডায়াবেটিস মুক্ত বাংলাদেশ

ডায়াবেটিস আজকাল বাংলাদেশের জন্য একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে মানুষের জীবনধারা পরিবর্তনের কারণে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই একটি ডায়াবেটিস মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী।
ডায়াবেটিস মুক্ত বাংলাদেশ
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এবং মানসিক চাপ কমানোর ডায়াবেটিস সাহায্য করে। এর পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ভয়াবহতা অনেক অংশে কমানো সম্ভব হবে।

সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকছে যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। এটির মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নির্মূল করার জন্য সচেতন হতে হবে। তারা সচেতন না হলে সম্ভব নয়।

ডায়াবেটিস মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্যকর জীবন ধারা ও মানুষের সচেতনতা ডায়াবেটিস কে প্রতিরোধ করতে বেশী ভূমিকা পালন করবে। সর্বপ্রথম মানুষের সচেতনতাই মূল কারণ সচেতনতা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব হয় না।

একটি ডায়াবেটিস মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সরকার সমাজ ও প্রতিটি নাগরিক কে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সবাই যদি একযোগে হয়ে না কাজ করে তবে কোন কাজই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ডায়াবেটিস মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা সকলে মিলে সচেতনতা অবলম্বন করব। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের আবিষ্কার

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা এর ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুনূরের আবিষ্কার একটি অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন পর্যাপ্ত পরিমাণে দরকার।

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যার শরীরে ইনসুলিন এর অভাব বা কার্যকারিতা ক্ষতির কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। আগে ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যায় ভুগতেন এবং জীবনের ঝুঁকিতে জীবনের ঝুঁকিতে থাকতেন।

ইনসুলিন আবিষ্কারের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসায় বিপ্লবী পরিবর্তণ এসেছে। ১৯২১ সালে ক্যানাডিয়ান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ব্যান্টিং এবং তার সহকারি চার্লস বেস্ট ল্যাবরেটরীতে পেনিস্পিয়ার থেকে ইনসুলিন আলাদা করতে সক্ষম হন।

ইনসুলিনের এই আবিষ্কার টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জীবন দায়ের প্রতিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইনসুলিন আবিষ্কারের আগে ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণ কঠোর খাদ্যা অভ্যাস ও সীমিত জীবনধারা পালন করতে হতো। কিন্তু এখন আর এটির প্রয়োজন হয় না।

আজকাল ইন্সুরেন্স শুধুমাত্র টাইপ-১ নয় কিছু টাইপ -২ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ইনসুলিনের আবিষ্কার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শুধু রোগীদের জীবন বাছাই না বরং ডায়াবেটিস মোকাবেলায় বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির এক বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

পরিশেষে

ডায়াবেটিস দিবস জাতিসংঘের উদ্যোগ ইনসুলিন এর আবিষ্কার এবং সরকারের বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সুস্থ জীবন ধরা ও সময়মতো চিকিৎসায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। যা আমরা জানলাম আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।

প্রতিটি মানুষকে নিজ দায়ীতে ও পরিবার সমাজ মিলিতভাবে সচেতন হয়ে ডায়াবেটিস মুক্ত সুস্থ জীবন গড়তে হবে এই ছোট্ট পদক্ষেপ আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে। যা আমরা আর্টিকেলটিতে জানলাম। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে www.jarinonlien.com এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url