OrdinaryITPostAd

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন। কারণ সাধারণত বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক বা অনেক কর্মী বিদেশে যায় উপার্জন করার জন্য। তাই বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলটিতে।
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কম বেশি অর্থ উপার্জন করার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে এবং উপার্জনের তার কিছু অংশ দেশে পাঠাচ্ছেন অর্থনীতিতে উন্নতির জন্য। সেজন্য বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন বিস্তারিত আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে। 

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন 

বর্তমানে বাংলাদেশে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সরকার প্রবাসীদের জন্য নানা সুবিধা দিচ্ছে। যেন তারা সহজে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে পারে। সাধারণভাবে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সর্বোচ্চ সীমা নেই।
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন এটির মধ্যে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনি বৈধভাবে যত টাকা পাঠাতে চান ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। তবে ব্যাংক উচ্চ যাচাই বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইতে পারে যদি অর্থের পরিমাণ অনেক বড় হয়।

ব্যাংক মূলত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের রেমিটেন্স গ্রহণের ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারিত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে মোবাইলে রেমিটেন্স গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ সীমা ২.৫ লাখ টাকা। 

ওয়ার্ক বা সার্ভিসের কারণে বিদেশ থেকে আয় করে বাংলাদেশে পাঠানো অর্থের ক্ষেত্রে ঘোষণা ছাড়াই একটি সীমা রয়েছে। এটিতে বলা হয়েছে ২০০০০ ডলারের সমপরিমাণ বা তার কম পরিমাণ করলে সাধারণত অতিরিক্ত ঘোষণা বাধ্যতামূলক নয়।

সাধারণত আইনগতভাবে নির্দিষ্ট একটা অংক নেই যা ছাড়িয়ে গেলে রেমিটেন্স আদৌ নিতে পারবে না। তবে ব্যাংক বা প্রেরণকারী তথ্য গ্রহণ যাচাইয়ের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এর থেকে বেশি পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করলে মোবাইল ব্যতীত ব্যান্ড অ্যাকাউন্টেরই বেশি গুরুত্ব রয়েছে। 

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন এটির মধ্যে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম গুলো আগে আমাদের জানতে হবে কারণ প্রতিবছর বহু প্রবাসী বিদেশ থেকে দেশের জন্য আর্থিক দিক থেকে লাভবান হওয়ার কারণে অনেক রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকেন।

রেমিটেন্স পাঠানোর আগে আপনার ব্যাংক বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে যাচাই করুন কারণ নিয়মসময়ের সাথে পরিবর্তন হতে পারে। মূল উৎস আয় সাধন প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী তথ্য সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখুন কারণ বড় অংকে টাকা পাঠালে ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষ উৎস জানতে চাইতে পারে।

যদি শুধুমাত্র মোবাইল একাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এর সীমা বিবেচনায় রাখতে হবে কারণ এর নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমান রয়েছে। যদি আই বা চালান বড় হয় এবং ঘোষণা ছাড়াই সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাহলে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা ভালো।
বিদেশের চিকিৎসা পড়াশোনা ভ্রমণ এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের মতো বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম আছে। এসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিদেশে টাকা পাঠানো বা বিদেশ থেকে দেশে আনতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। যেন প্রবাসীরা সবদিক থেকে সুবিধা পায়।

বিশেষ করে স্ত্রী সন্তানের শিক্ষা চিকিৎসা বা মাইগ্রেশনের মতো ক্ষেত্রে আইনগত বিধি এবং প্রমাণপত্র দেখে বেশি পরিমাণ অর্থ লেনদেনের সুযোগ থাকে। বৈধভাবে ব্যবহার করলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বড় কোন বাধা নেই বরং টাকা পাঠানোর নিয়ম গুলো আরো বেশি সহজ।

রেমিটেন্স পাঠানোর সময়সীমা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা রেমিটেন্স করা হয়েছে এমন অর্থ যে ব্যাংকে আসে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে তখনকার চাহিদা মত যাচাই ও রিপোর্ট করতে হয়।

রপ্তানি পণ্য বা সার্ভিস থেকে প্রাপ্ত অর্থ দেশে আনার ক্ষেত্রে অর্থবহ ও রেমিড্যান্স করার একটি নির্ধারিত সময়সীমা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সামগ্রিক আউট ওয়ার্ল্ড রেমিটেন্স রুলস সার্কুলার জারি করেছে ৩০ সেপ্টেম্বরে যা এক বছরের জন্য বৈধ থাকবে।

রেমিটেন্স নেওয়ার বা রেমিট করার অর্থ নির্দিষ্ট স্টান্ডার সময়সীমা ৩০ দিনের মধ্যে বা ৬০ দিনের মধ্যে। সাধারণ গ্রাহক রেমিটেন্সদের জন্য সাধারণত প্রকাশও নেই। রপ্তানি আয় বা পণ্যর জন্য দেশে আনার ক্ষেত্রে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন রেমিটেন্স গ্রহণযোগ্য নয়।

তবে সাধারণ ব্যক্তির প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স ক্ষেত্রে এর সময়সীমা নির্ধারণ করা নেই। নিয়ম অনেক সময় পরিবর্তন হয় এবং আপনার প্রেরণকারী দেশ ব্যাংক চেইন রেমিটেন্স মাধ্যম উচ্চ ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্কতার সাথে সময়সীমা দেখে নিতে হবে।

যদি আপনি বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠাতে বা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তাহলে আপনার ব্যাংক অথবা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাতে হবে। রেমিটেন্স পাঠানোর সময় ট্রান্সফার প্রসেসিং টাইম সাধারণ ব্যাংকিং সময় নিয়েই হয় তাই কত দিনে টাকা পৌঁছাবে এ বিষয়ে ব্যাংকে সঙ্গে কথা বলা জরুরি। 

বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোর পদ্ধতি

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন এই উপায় এর মধ্যে বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোর পদ্ধতি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রেমিটেন্স সরকার অবৈধভাবে কোন কিছু গ্রহণ করেনা। তাই বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোর কি কি পদ্ধতি রয়েছে তা আমাদের আগে জানতে হবে।

বিদেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের উপার্জিত টাকা দেশে পাঠানো সর্বোচ্চ নিরাপদ ও স্বীকৃতি পদ্ধতি হল বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করা। ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জ ও আন্তর্জাতিক মানিক ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করে সহজেই রেমিটেন্স পাঠানো যায়।

যে কোন বিদেশি ব্যাংকে গিয়ে ফরম পূরণ করে সরাসরি বাংলাদেশের ব্যাংকে একাউন্টে টাকা পাঠানো যায়। টাকা পাঠানোর জন্য প্রাপকের নাম পরিবারের সদস্য সংখ্যা ব্যাংকের নাম এবং ঠিকানা একাউন্ট নাম্বার বাংলাদেশ ব্যাংকের ইউনিক কোড দরকার হয়।

বিদেশি মানে এক্সচেঞ্জ এজেন্ট হাউস এ গিয়ে রেমিটেন্স পাঠানো যায় তারা সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে দ্রুত টাকা পৌঁছে যায়। এসব ক্ষেত্রে প্রবাসীরা টাকা পাঠাতে সবথেকে বেশি সুবিধা হয়।

মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে অনলাইন অ্যাপ এর মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো যায়। অনলাইনে কিছু বৈধ অ্যাপ রয়েছে বা ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ব্যাংক বা নগদে তুলে নেওয়া যায়। বাংলাদেশের টাকা পাঠানোর পরে গ্রাহক বিকাশ বা নগদ বা রকেটের মাধ্যমে টাকা নিতে পারবে। 

রেমিটেন্স সরকারের সুবিধা

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন এটিতে একজন প্রবাসীর রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে কি কি সুবিধা রয়েছে তা আগে জানতে হবে। কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রে সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করে মানুষ কাজ করে থাকে। 

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় তার জন্য রেমিটেন্স সরকারের সুবিধা গুলো নিম্নরূপঃ
  • রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়।
  • রিজার্ভ বাড়লে মুদ্রা ও বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সহজ হয়।
  • পরিশোধন ব্যালেন্স শক্তিশালী হয়।
  • বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরতা কমে।
  • বাইরের কিস্তি পরিশোধের সুবিধা হয়।
  • সরকারের ঋণগ্রহণের চাপ কিছুটা কমে যায়।
  • উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে সরাসরি সহায়তা পাওয়া যায়।
  • বাজেট ঘাটতি পূরণে সাময়িক আর্থিক সংগতি তৈরি করে।
  • রেমিটেন্স থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকিং সেক্টরের লেনদেন বাড়ে।
  • টেক্সট ভিত্তিক রাজস্ব সংগ্রহের সহায়ক অবকাঠামো গড়ে ওঠে।
  • আয়ের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসের অবদান রাখে।
  • সামাজিক স্থিতিশীলতা বেড়ে যায়।
  • গ্রামীণ ও উপকূলীয় এলাকায় অর্থ সঞ্চালন বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প ভূমিকা রাখে।
  • বিদেশি মুদ্রার প্রবাহ ব্যবসা ও শিল্পের বিনিয়োগের উৎস যোগায়।
  • বাংলাদেশি ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মডান ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম গড়ে ওঠে।
  • বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পারলে গুন্ডি ও অবৈধ চ্যানেল দুর্বল হয়।
  • প্রবাসীদের নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারণে আর্থিক তথ্য ও ডেটা পাওয়া যায়।
  • স্থানীয় উৎপাদন চাহিদা মেটাতে আর্থিক উৎস সরবরাহ হয়।
  • সামাজিক নিরাপত্তা ও জরুরি তহবিলের প্রবাহিত অনুদান এর সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
  • দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবিধি ও জাতীয় উন্নয়নে রেমিটেন্স একটি স্থানীয় কাঠামো গত ভূমিকা রাখে।

ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর উপায়

বিদেশের কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠানো সবচেয়ে নিরাপদ ও বৈধ মাধ্যম হলো ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো। ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করলে অর্থ সরাসরি বাংলাদেশের নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যায়।

এই পদ্ধতি নিরাপদ স্বচ্ছ এবং সরকারের নির্ধারিত রেমিটেন্স ইন্সেন্টিভ পাওয়ার সুযোগ থাকে। তাই রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাংক সব সময় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে হলে প্রথমে প্রাপকের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।

এর মধ্যে রয়েছে প্রাপকের পূর্ণ নাম ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার বা আই বি এ এন ব্যাংকের নাম ও শাখা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুইফট কোড। সুইফট কোড হল একটি আন্তর্জাতিক কোড যা সঠিক ব্যাংকে টাকা পৌঁছাতে সাহায্য করে। তথ্য ভুল হলে লেনদেন আটকে যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর প্রেরণকারীকে ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল রেমিটেন্স ফ্রম বা সুইফট ট্রান্সফার ফরম পূরণ করতে হবে। অনেক ব্যাংকে অনলাইনে ব্যাংকিং অ্যাপ থেকেও আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার করা যায়। ফর্মে কত টাকা পাঠাতে চান এবং কোন মুদ্রায় পাঠাতে হবে তা উল্লেখ করতে হবে।

এরপর সঠিক এক্সচেঞ্জ রেট এবং ট্রান্সফার চার্জ সম্পর্কে ব্যাংক আপনাকে জানিয়ে দেবে। সাধারণত সেন্ডিং চার্জ করেসপন্ডেন্ট ব্যাংক চার্জ এবং রিসিভিং চার্জ কেটে নেওয়া হয়। সব তথ্য সঠিক হওয়া নিশ্চিত হলে ব্যাংক ট্রান্সফারটি প্রসেস করে এবং আপনাকে একটি ট্রান্সফার রশিদ কপি দিবে।

রেমিটেন্স সরকারের অসুবিধা

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন এর মধ্যে রেমিটেন্স সরকারের যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমন অনেক অসুবিধাগুলো রয়েছে যেগুলো আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর দিক হতে পারে তাই আমরা সাবধানতার সাথে অবলম্বন করব।

রেমিড্যান্স সরকারের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা গুলো নিম্নরূপঃ
  • রেমিটেন্সের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা দেশের উৎপাদনশীল থাকলে দুর্বল করে দিতে পারে।
  • প্রচুর রেমিটেন্স আসলে সরকার নিজের রাজস্ব আয়ের উৎস খুঁজতে কম আগ্রহী হয়।
  • রেমিটেন্সের কারণে টাকার সরবরাহ বেড়ে মুদ্রা ইসপিতি চাপ তৈরি হতে পারে।
  • বিদেশে কর্মী পাঠাতে সরকারকে প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক ব্যয় বহন করতে হয়।
  • রেমিটেন্স কমে গেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্থাৎ কমে যাওয়া ঝুঁকি থাকে।
  • বিদেশের কর্মসংস্থানের বাজার সংকুচিত হলে সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অব্যাহত থাকে না।
  • দক্ষ মানবসম্পদ বিদেশে চলে যাওয়াই অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
  • দেশের অভ্যন্তরীণ শ্রম বাজারের দক্ষ জনবল শংকর তৈরি হয়।
  • রেমিটেন্সের কারণে কিছু মানুষ কাজ না করে শুধুমাত্র বিদেশ থেকে টাকা পাওয়ার উপর নির্ভর করে।
  • বিদেশ গমন কারিশ শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ ভিসা প্রসেসে সরকারের বহুমুখী খরচ হয়।
  • অবৈধ হুন্ডি চেলেন নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আলাদা ব্যয় এবং আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে হয়।
  • রেমিটেন্সের অর্থ ব্যাংকে জমা হলেও অনেক সময় তা উৎপাদন খাতে ব্যবহার হয় না।
  • বিদেশি স্টোন বাজারের নীতি পরিবর্তন হলে সরকারের ওপর আংশিক চাপ পড়ে।
  • কর্মীদের নিরাপত্তা দুর্ঘটনা মৃত্যুর ক্ষেত্রে সরকারকে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা দিতে হয়।
  • প্রবাসী কর্মীদের সমস্যা সমাধানের দূতাবাস হেডলাইন আইন সহায়তা সবকিছু সরকারি খরচ করে।
  • রেমিটেন্স ইনসেন্টিভ হিসেবে সরকারকে বাড়তি অর্থ প্রদান করতে হয়।
  • দেশে অর্থ আসে কিন্তু সম্পদের পাল্টা রিটার্ন না পাওয়াই ক্যাপিটাল আউট ফ্লোর রিক্স থেকে যায়।
  • আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট বা যুদ্ধ হলে রেমিটেন্স মারাত্মকভাবে কমে যায়।
  • বিদেশ নির্ভর আয়ের কারণে স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানি পিছিয়ে যায়।
  • দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি অস্থির হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে যদি উৎপাদন ও বিনিয়োগ না বৃদ্ধি পায়। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স নীতি

বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন এডিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স অনেকগুলো নীতি রয়েছে যা আমাদের জন্য এবং প্রবাসী শ্রমিক কর্মচারী সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতি। এই নীতি আমাদের সকলকে মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স নীতি
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের মুদ্রানীতি ও বৈদেশিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে রেমিটেন্স প্রক্রিয়ার নিয়ম নির্ধারণ করেছেন। নিরাপদ স্বচ্ছ এবং বৈধ লেনদেন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নীতি ও নির্দেশনা জারি করেছে।

রেমিটেন্স অবশ্যই বৈধ চ্যানেল হতে হবে যেমন ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে। , অবৈধ চ্যানেল ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সর্বদা সতর্কতার সাথে টাকা পাঠাতে হবে।

কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং অথোরিটি সাথে কথা বলতে হবে। প্রাপকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার কোড এবং শাখা ঠিকানা সঠিকভাবে দিতে হবে কারণ তথ্য ভুল হলে টাকা আটকে যেতে পারে যা বাংলাদেশ ব্যাংক কন্ট্রোল করে।

বাংলাদেশ সরকারের বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানোর রেমিটেন্সে দুই থেকে আড়াই পারসেন্ট ইনসেন্টিভ দেয়। এটি পেরেক এবং প্রাপক উভয়ের জন্য সুবিধা জনক এবং বৈধ রেমিটেন্স বাড়াতে উৎসাহিত করে। ব্যাংকগুলোকে মাসিক ভিত্তিতে রেমিটেন্সের রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে দেয়।

আন্তর্জাতিক টাকা ট্রান্সফার

আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার হল এক দেশে থাকা ব্যক্তি সংস্থা টাকা অন্য দেশে প্রাপকের একাউন্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া। যা বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জানুন এদের মধ্যে জানতে পারবেন। কারণ এই প্রক্রিয়াটি সবথেকে বেশি কার্যকর একটি প্রক্রিয়া।

আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার দ্রুত এবং নিরাপদ এবং ট্রান্সফার ট্রাকযোগ্য হওয়ায় এটি প্রবাসী কর্মী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। আন্তর্জাতিক টাকা ট্রান্সফার করার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তা সঠিক হওয়া উচিত।

যে প্রাপক তার জন্য প্রাপকের পূর্ণ নাম ব্যাংক নাম ও শাখা অ্যাকাউন্ট নাম্বার ব্যাংকের কোড এবং প্রয়োজনীয় প্রাপকের ঠিকানা যথাযথভাবে দিতে হবে। আবার যে প্রেরক সে টাকা উত্তোলন করার সময় তথ্য অবশ্যই যাচাই করে নিবে।

পেরক নির্ধারিত ট্রান্সফার ফি এক্সচেঞ্জ রেট এবং ফরেসপন্ডিং ব্যাংক ফি যাচাই করবে। ব্যাংক বা সার্ভিস প্রেরকের টাকা গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রাপকের ব্যাংকে পাঠানো হবে। সাধারণত ১ থেকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে টাকা পৌঁছে যাবে।

প্রাপক তার ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারে প্রয়োজনীয় রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করে ট্রাক করতে পারে। অবৈধ চ্যানেল ব্যবহার করা যাবে না এবং প্রাপকের তথ্য ভুল ধরাই লেনদেন আটকে যেতে পারে তাই সবকিছু সাবধানতার সাথে অবলম্বন করে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে।

পরিশেষে

ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো নিরাপদ বৈধ এবং স্বচ্ছ একটি পদ্ধতি। এটির মাধ্যমে কি করে টাকা পাঠাতে হয় এবং এটির সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ কি কি এ সকল কিছু আমরা জানতে পেরেছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক প্রবাসী ও ব্যবসায়ীদের জন্য দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো এটি এই রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে সাহায্য করে যা আমরা জানলাম আর্টিকেলটিতে। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url