ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।আপনি যদি ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। কোরবানি দেওয়ার আগে ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকলেরই জেনে রাখা ভালো।
মুসলিমদের জীবনে প্রতি বছর দুইটি উৎসব আসে পবিত্র ঈদুল-ফিতর ও ঈদ-উল আযহা। ঈদুল আযহা মূল বিষয় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় একটি পশু কোরবানি করা। আজকের আর্টিকেল ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আলোচনা করব বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কোরবানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত ভাগ পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছেন সহীহ মুসলিম দের ইতিহাস রাসূলুল্লাহ সাল্লাম ওটের জন্য সর্বোচ্চ ১০ ভাগ পর্যন্ত কোরবানী দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।
ছাগল ভেড়া দুম্বা দাড়া তোমাদের একজনের কোরবানি দিতে পারবে এসব পশুর জন্য কোন প্রকার ভাগ শহিহ হবে না আর এই জন্য এ ধরনের পশু গুলো শুধুমাত্র একজনই কোরবানি দিতে পারবে। শুধুমাত্র উটের গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত ভাগ হতে পারে এর বেশি হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
যদি ছাগল ভেড়া দুম্বা এগুলোতে একাধিক ভাগ হয় তাহলে সেই কোরবানিতে হালাল বা শহিহ শুদ্ধ হবে না মাত্র বড় ধরনের পশু অর্থাৎ গরু মহিষ এগুলার ক্ষেত্রে একাধিক ভাগ করা যায় তবে সাত ভাগের বেশি হলে সেটিও হালাল বা শহিহ শুদ্ধ হবে না।
প্রত্যেক মুসলিমদের ঈদুল আযহার প্রধান আকর্ষণ হয় একটি পশু হালাল পর্যায়ে কোরবানি করা আল্লাহর অনুগত্য লাভের আশায়। কাজেই পশু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা বা জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণে শিক্ষা নাই।
কোরবানির পশুদের অংশীদারের অংশ সমান হতে হবে কারণ অংশ অন্যের অংশ থেকে কম হতে পারে এমন হলে সেই কোরবানিতে শরিকের মতন শুদ্ধ হবে না এজন্য সকলের ভাগ সমান হতে হবে। তাই আমাদের অবশ্যই আগে থেকে জেনে রাখতে হবে ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে।
কোরবানির ইতিহাস ও তাৎপর্য
আনুমানিকভাবে বলা যায় যে ২০২৫ সালে ৬ই জুন উদযাপিত হতে পারে তাই আগে থেকে বলা যায় যে ২০২৫ সালের ৬ জুন হতে পারে। ঈদ উল আযহা এই বছর ৬ জুন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।
হিজরী চন্দ্র বছর গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার মাঝে ২ মাস ব্যবধান থাকে দীনের সর্বোচ্চ হিসাব অনুযায়ী ৭০ দিন হতে পারে উদাহরণস্বরূপ ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর হয়েছিল দোসরা মে এবং ঈদুল আযহা হয়েছিল ২৯ শে জুন ঈদের মধ্যে ব্যবধান ছিল ৭০ দিনের।
কোরবানি হলো ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা ভক্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় করা হয়। কোরবানির সূচনা হয় হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর সময় থেকে। হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে স্বপ্নে তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল আঃকে কোরবানি করার নির্দেশ দেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
স্বপ্নটি কয়েকবার দেখার পরে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম বুঝলেন যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা তার জন্য বড় একটি পরীক্ষা। তিনি নির্দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়ে যান। কে তার পুত্র ইসমাইল আঃ কে কোরবানির জন্য তিনি নিজেও রাজি হয়ে যায়।
তিনি সম্পূর্ণভাবে রাজি হয়ে যান শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। এক পর্যায়ে তিনি তার পুত্রকে কুরবানী করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান ঠিক তখনই আল্লাহতালা একটি বড় দুম্বা পাঠিয়ে দিলেন হযরত ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর জায়গায়। তৎক্ষণাৎ ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর জায়গায় সেই দুম্বাটি কোরবানি হয়ে যায়।
কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা দরকার
মুসলিমদের বড় একটি উৎসব ঈদ-উল-আযহা। যাকে আমরা বলে থাকি কোরবানির ঈদ। যে ঈদে প্রত্যেকটা মানুষেরই সখ থাকে একটি পশু আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করা। এটি মূলত হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর স্মরণে পালন করা হয়।
ঈদুল আযহার বড় একটি অংশ হচ্ছে কোন নিখুঁত পশু কোরবানি করা। এটি সর্বদাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি করা হয়। এবং এই ঈদে কোরবানি করার মাধ্যমে মুসলমান মানুষজন আনন্দ করে। ঈদুল আযহার কোরবানি একটি বড় অংশ।
প্রত্যেকটি মুসলিম মানুষের জানা উচিত কোরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি সম্পর্কে কারণ এটি একটি পবিত্র উৎসব এর মধ্যে একটি। তাই অবশ্যই প্রশ্নটিকে নিখুঁত হতে হবে কোরবানির জন্য।
পশু কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে পশুটি শারীরিকভাবে সক্ষম আছে তার শরীরে কোন প্রকার অক্ষমতা বা কোন খুত আছে কিনা এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এর কারণ হলো কোন অসুস্থ বা খুত সমৃদ্ধ কোন পশু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানি কবুল হয় না।
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সকলকে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে কোরবানির আগে এর কারণ হলো কোরবানি ঈদের জন্য অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হয় সকল মুসলিমদের জন্য। এর কারণ হলো সকল মুসলিমরা যদি আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ না করে তাহলে পরবর্তীতে আর্থিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
ভাগে কোরবানি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য
কোরবানি হলো ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা ভক্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় করা হয়। কোরবানির সূচনা হয় হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর সময় থেকে। হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে স্বপ্নে তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল আঃকে কোরবানি করার নির্দেশ দেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
স্বপ্নটি কয়েকবার দেখার পরে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম বুঝলেন যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা তার জন্য বড় একটি পরীক্ষা। তিনি নির্দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়ে যান। কে তার পুত্র ইসমাইল আঃ কে কোরবানির জন্য তিনি নিজেও রাজি হয়ে যায়।
তিনি সম্পূর্ণভাবে রাজি হয়ে যান শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। এক পর্যায়ে তিনি তার পুত্রকে কুরবানী করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান ঠিক তখনই আল্লাহতালা একটি বড় দুম্বা পাঠিয়ে দিলেন হযরত ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর জায়গায়। তৎক্ষণাৎ ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর জায়গায় সেই দুম্বাটি কোরবানি হয়ে যায়।
এভাবেই হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মুসলিম জাতির জন্য একটি চিরন্তন উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনা স্মরণেই মুসলমানরা প্রতিবছর কোরবানির প্রথমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করে। কোরবানি শুধু ও সুজমায় নয় বরং এটা একজন মুমিনের আল্লাহর প্রতি অনুগত ভালোবাসা ও ত্যাগের পরিচয়।
কোরবানির মাধ্যমে ধনী ও গরিবের মাঝে সবার দু সৃষ্টি হয় এবং সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার শিক্ষা পাওয়া যায়। এইজন্য প্রতিবছর আল্লাহর অনুগত্য লাভের আশায় একটি হালাল পশু কোরবানি করা হয়। প্রতিবছর পালন করা হয়।
ভাগে কোরবানি দেওয়া যাবে কিনা
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সকলকে বিস্তারিত জেনে নিতে হয় কোরবানির আগে ভাগে কোরবানি দেওয়ার বৈধতা রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে অনেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন আপনাদের সুবিধার্থে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী ভাগ ভাগে কুরবানী দেওয়ার বৈধতা আছে আর এটি কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্টভাবে দিক নিদর্শন দেওয়া রয়েছে।
কোরবানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাজহাব প্রকাশ করেন বড় পশু অর্থাৎ গরু মহিষ উট এগুলার ক্ষেত্রে ভাগে কোরবানি দেওয়া যাবে। কুরবানী করার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আশা আর কোরবানি করার সময় অবশ্যই সব নিয়ম কানুন মেনে করা উচিত।
ছাগল ভেড়া দুম্বা দাড়া তোমাদের একজনের কোরবানি দিতে পারবে এসব পশুর জন্য কোন প্রকার ভাগ শহিহ হবে না আর এই জন্য এ ধরনের পশু গুলো শুধুমাত্র একজনই কোরবানি দিতে পারবে। শুধুমাত্র উটের গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত ভাগ হতে পারে এর বেশি হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
যদি ছাগল ভেড়া দুম্বা এগুলোতে একাধিক ভাগ হয় তাহলে সেই কোরবানিতে হালাল বা শহিহ শুদ্ধ হবে না মাত্র বড় ধরনের পশু অর্থাৎ গরু মহিষ এগুলার ক্ষেত্রে একাধিক ভাগ করা যায় তবে সাত ভাগের বেশি হলে সেটিও হালাল বা শহিহ শুদ্ধ হবে না।
প্রত্যেক মুসলিমদের ঈদুল আযহার প্রধান আকর্ষণ হয় একটি পশু হালাল পর্যায়ে কোরবানি করা আল্লাহর অনুগত্য লাভের আশায়। কাজেই পশু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা বা জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণে শিক্ষা নাই।
ভাগে কুরবানী দেওয়ার বৈধতা
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আমরা যদি বিস্তারিত জেনে থাকি তাহলে আমাদের অনেকের মনেই ইতিহাসে যে ভাগে কুরবানীর দেওয়া বৈধ আছে কিনা তবে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বড় পশু সাত ভাগ থেকে ১০ ভাগের মধ্যে কোরবানি দেওয়া যায়।
ভাগে কুরবানী দেওয়ার পক্ষে যেসব উলামায়ে কেরাম দলিল পেশ করেন সেগুলো থেকে বর্ণিত একটি গরু বা মহিষ সাত জন মিলে কোরবানি দিতে পারবে। এই হাদিসটি তিরমিজি শরীফে উল্লেখ করা আছে কোরবানী সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে যে জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন গরু মহিষ উট এগুলো সাত থেকে ১০ ভাগ করা যায়।
আমরা যদি ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো আগে থেকে না জেনে রাখি তাহলে কোরবানির আগে এগুলো জানা এবং পরবর্তীতে কোরবানি করা অনেক বেশি সমস্যা সৃষ্টি করবে এজন্য ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ জানা দরকার।
প্রত্যেকটি মুসলিমদের জীবনে সবচেয়ে বড় দুইটি উৎসব আসে সেগুলো হল ঈদ উল ফিতর ঈদ উল আযহা। এই দুইটি ঈদে মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি আনন্দ করে ঈদ উল আযহার মূল বিষয় হলো কোরবানি করা।
কোরবানি করা হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর কাছে তাকওয়া পৌঁছানোর জন্য একটি হালাল পশু কোরবানি করার সাথে সাথে আল্লাহর কাছে তাকওয়া পৌঁছে যায় কুরবানী করার সময় অবশ্যই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ কোরবানি সম্পর্কিত কিছু হাদিস সকলেরই জানা উচিত যারা মুসলিম তাদের জন্য। কারণ হলো ঈদ উল আযহার বড় একটি অংশ হল কোরবানি। এই কোরবানি সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত আছে।
কোরবানি সম্পর্কে হযরত মিখজাফ ইবনে সালেম রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সমবেত লোকদের সম্মোধন করে এ কথা বলতে শুনেছি যে লোক সকল তোমরা জেনে রাখো প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা কর্তব্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রতিবছর কোরবানী করতেন এবং সকল সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের কোরবানি দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। হযরত ইবনে আব্দুল্লাহ ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত মদিনার ১০ বছর জীবন থেকে প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন।
এছাড়াও কোরবানির সাথে জড়িত আছে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লামের ত্যাগ এর পরীক্ষা । তিনি তার সন্তানের গলায় খঞ্জর চালিয়েছিলেন। আর সেই তাদের দৃষ্টান্ত আমরা প্রতিবছর কোরবানির মাধ্যমে স্মরণ করে রাখি।
এছাড়াও হাদিসে বর্ণিত আছে যে সামর্থ্যবান কোন ব্যক্তি যদি কোরবানি না দেয় তাহলে সে যেন নামাজের জন্য মসজিদে না আসে। অর্থাৎ সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য কোরবানি দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কোরবানিকে ইসলাম মোতাবেক ওয়াজিব বলা হয়।
ভাগে কোরবানির ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আমরা যদি জেনে থাকি তাহলে অবশ্যই আমরা আগে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়গুলো যেনে নিতে চাইব আমরা যখন কোরবানি করি তখন আমরা অবশ্যই সমস্ত নিয়ম পালন করি।
কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয় আছে সেগুলো আমাদেরকে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি করণীয় বিষয় হল-
- ভাগে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে কোরবানি করতে হবে অর্থাৎ ঈদের দিন থেকে পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে কোরবানি দিতে হবে।
- প্রতিটি সঠিকভাবে জবাই করতে হবে অর্থাৎ আল্লাহর নামে পশুটি কোরবানি করতে হবে কেননা আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই কোরবানিটি করা হয়।
- কোরবানির মাংসগুলো ও সমাজের ধনী এবং গরীবের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করতে হবে
এবারে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় হল-
- কোরবানির পশুটি খুব ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে যাতে কোন সমস্যা না থাকে।
- কোন ত্রুটিপূর্ণ পশু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় জবাই করা যাবে না।
- কোরবানির মাংস ভাগ করার ক্ষেত্রে অনৈতিক কাজ করা যাবে না।
- কোরবানির মাংস বিক্রি করা যাবে না এর কারণ হলো এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ত্যাগ এটা সমাজের মানুষের খাবার জন্য এবং নিজে খাবার জন্য।
ভাগে কোরবানির ক্ষেত্রে পরিবেশগত দিক
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে থাকলে আমরা নিশ্চয়ই ভাগে কোরবানির ক্ষেত্রে পরিবেশগত দিকগুলো নিয়ে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করব এর কারণ হলো আমরা যদি কোরবানির মাংস পাওয়ার পরে সে জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কার না করি তাহলে সমাজে সকল মানুষের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
একটি প্রশ্ন কোরবানি করার পরে সে জায়গাটি খুব ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে এর কারণ হলো কোরবানির পশুর রক্ত শুকিয়ে গেলে বা সেখানে পানি পড়ে থাকলে প্রচুর পরিমাণে গন্ধ করবে। মারাত্মক গন্ধ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
এছাড়াও কোরবানি হয়ে যাওয়ার পরে সে পশুটির বজ্র পদার্থ যেখানে সেখানে আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রাখা যাবে না সেটাকে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে পুতে রাখতে হবে পরবর্তীতে যেন কোন প্রকার গন্ধ বা কুকুর বেড়ালে সেগুলো নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে।
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে তবে কোরবানি করব এছাড়াও কোরবানি করার সময় পরিবেশের কথা চিন্তাভাবনা করবো। কোরবানি হয়ে যাওয়ার পরে সে স্থানটির জন্য পরিবেশের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
কোরবানির পরে অবশ্যই সে জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিতে হবে এর না হলে পরবর্তীতে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তাই অবশ্যই পরিবেশের কথা মাথায় রেখে কাজগুলো করতে হবে। অনেকেই বজ্র পদার্থগুলো পুকুরে ফেলে করে ফেলে এটা করা যাবে না।
পরিশেষে
আজকের আর্টিকেলে ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করছি আজকের পোস্টটি পড়ে ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে ধারণা নিতে পেরেছেন। মুসলমানদের জীবনে কোরবানি তাৎপর্য অনেক বেশি।
প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি তাদের ঈদ উৎসবের জন্য অনেক আগ্রহ এবং আনন্দ নিয়ে কাজ করে। প্রত্যেকটি মুসলিম ব্যক্তিরই কোরবানি দেওয়ার আগে ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে জানা দরকার প্রতিদিন এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি পেতে চান তাহলে www.jarinonline.com এই পেজটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url