আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এটি আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দেয় কিভাবে আমরা অভিবাসী ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব। তাই আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলটিতে।
অভিবাসী ব্যক্তিরা সব দিক থেকে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। এরা কোন দিক থেকে কম এমনটা নয়। সর্বদা আমরা এদের প্রতি আন্তরিকতা দেখাবো। সেজন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ সম্পর্কের বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস প্রতিবছর পালন করা হয়। এই দিনটি বিশেষ সব অভিবাসী মানুষের অবদান সংগ্রাম এবং অধিকারকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে উদযাপন করা হয়।
এই দিনটি মানবিক মূল্যবোধ সততা ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পথিক হিসেবে বিবেচিত। বর্তমান বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বিভিন্ন কারণে নিজের জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে কর্মসংস্থা শিক্ষা বা নিরাপত্তার খোঁজে অভিবাসী হন।
এই অভিবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস তাই আমাদের পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের মূল কৃতজ্ঞতা প্রতি প্রকাশের দিন। তাই আমরা এ দিনটিকে সম্মানের সাথে পালন করি।
প্রতিবছর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদন নির্ধারণ করা হয় যা অভিবাসীদের অধিকার ও কল্যাণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। অভিবাসীদের মর্যাদা ও মানবাধিকার রক্ষা বা নিরাপদ সুশৃংখল ও নিয়মিত অভিবাসন এর মতো প্রতিপাদ্য গুলো সমাজে ভূমিকা রাখে।
এই প্রতিপাদ্য গুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে অভিবাসীরা বৈশ্বিক উন্নয়নের অপরিহার্য অংশ। বাংলাদেশ অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। মধ্যপ্রাচ ইউরোপ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স দেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
আন্তর্জাতিক অধিবাসী দিবস আমাদের শেখায় মানবতার মূল্যবোধ সহযোগিতা ও বৈশ্বিক বন্ধুত্বের গুরুত্ব। অভিবাসীদের প্রতি শ্রদ্ধা সুরক্ষা ও ভালোবাসা প্রদর্শনী এই দিনের আসল উদ্দেশ্য। তাই আমাদের উচিত অধিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সচেতন থাকা এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা।
বিশ্বজুড়ে অভিবাসীদের অবদান ও অধিকার কে স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর ১৮ দিবস পালন করা হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। এ দিবসটি মূলত সেই সকল মানুষদেরকে সম্মান জানায় যারা কর্মসংস্থান নিরাপত্তা ও ভালো জীবনের সন্ধানে নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পারি জমায়।
এটি মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আন্তর্জাতিক হিসেবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বিভিন্ন দেশে অধিবাসী হিসেবে বসবাস করছেন। তাদের পরিশ্রম ও অবদান বৈশ্বিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে।
এ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রত্যেক অভিবাসী সম্মান সম্মান মর্যাদা ও মানবাধিকারের দাবিদার। এই দিনে বিভিন্ন দেশে সেমিনার কর্মশালা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশসহ অনেক বেশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রবাসী কর্মীদের সম্মান দেওয়া হয় এবং নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। লখাধিক প্রবাসী কর্মীর কঠোর পরিশ্রমের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের স্লোগান
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের স্লোগানগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে এবং আমাদের অনুপ্রেরণা জাগায় অভিবাসীদের সম্মান ও মর্যাদার প্রতী।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের স্লোগানগুলো নিম্নরপঃ
- নিরাপদ অভিবাসন সবার অধিকার।
- অভিবাসীর মর্যাদা রক্ষায় মানবতার প্রতীক।
- অভিবাসীর ঘামে গড়া সমৃদ্ধ বিশ্ব।
- অভিবাসীদের প্রতি সম্মান মানবতার অধিকার।
- অভিবাসী নয় তারা উন্নয়নের দ্রুত।
- নিয়মিত অভিবাসন উন্নত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা।
- নিরাপদ যাত্রা সাফল্যের প্রতিছবি।
- অভিবাসী শক্তি দেশের গর্ব।
- প্রবাসীর পরিশ্রমে এগিয়ে চলুক বাংলাদেশ।
- অভিবাসীর অধিকার আমাদের দায়িত্ব।
- অভিবাসন মানেই বিভিন্ন সংস্কৃতি একতাবদ্ধ পৃথিবী।
- অভিবাসীরা আনে নতুন সম্ভাবনা ও উদ্ভাবন।
- মর্যাদা ও নিরাপত্তা অভিবাসীর মূল অধিকার।
- অভিবাসীর জন্য ঘর সবার জন্য শান্তি।
- ভিন্ন দেশ একই মানবাধিকার।
- অভিবাসীদের সম্মান সমাজের শক্তি।
- সাহায্য ও সমর্থন অভিবাসীর সাফল্যের চাবিকাঠি ।
- অভিবাসন নয় , শিকার এটি মানবাধিকারের অধিকার।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের জাতিসংঘের ভূমিকা
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের জাতিসংঘের ভূমিকা অন্যতম। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর পালন করা হয়। এ দিবসটি জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপীদের অধিকার তাদের অবদান রক্ষায় পালন করা হয়।
জাতিসংঘ ২০০০ সালে এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এবং এরপর থেকে ওই মাসিদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে নিরাপদ সুশৃংখল এবং নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করা। তাদের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বৈধ অভিবাসনের মাধ্যমে বৈদেশিক উন্নয়নকে উৎসারিত করাই জাতিসংঘের উদ্দেশ্য।
প্রতি বছরের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের জন্য জাতিসংঘের নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য ঘোষণা করে। এই প্রতিপাদ্য অভিবাসীদের জীবনে বাস্তব চ্যালেঞ্জ নিরাপদ অভিবাসন এবং বৈদেশিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।
২০২৩ সালের প্রতিপাদ্য সমাজে অভিবাসীদের গ্রহণযোগ্যতা ও সহযোগিতা উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিসংঘের এই ভূমিকা আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের তাৎপর্য কে আরো শক্তিশালী করে। জাতিসংঘ  সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষার্থে এই দিনটিকে তারা আন্তর্জাতিকভাবে পালন করে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের ইতিহাস
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিশ্বব্যাপী অভিবাসীদের অবদান অধিকার ও মর্যাদা কে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি বিশেষ দিন। ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ৫৩ বা ৯৩ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে।
এর স্বাক্ষর পত্রের মূল লক্ষ্য হলো অধিবাসীদের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের সামাজিক অর্থনৈতিক ও মানবিক অবদানকে সম্মান জানানো। এ দিবসটির ইতিহাস শুরু হয় ১৯৯০ সালে যখন জাতিসংঘ সমস্ত অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণ করেন।
জাতিসংঘ অধিবাসী ব্যক্তিদের অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন গ্রহণ করেছিলেন। এরপর বিভিন্ন দেশ এ কনভেনশন কে স্বীকৃতি দেয়। অভিবাসীদের সংখ্যা ও তাদের নানা সমস্যা সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যার কারণে ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দিবস ২০০০ সালের ১৮ ডিসেম্বর।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস কেবল একটি দিবস না এটি মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত বলে ঘোষণা করেছেন জাতিসংঘ। অভিবাসীদের অধিকার এবং সম্মান রক্ষার্থে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন সমূহ।
প্রতিবছর জাতিসংঘ তাদেরকে স্মরণ করার জন্য বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তাদেরকে সম্মান জানায় যেন অভিবাসী ব্যক্তিরা কোন দিক থেকে পিছিয়ে না পরে। তাদের অধিকার যেন কেউ অখন্ড না করে এবং তাদেরকে যথাযথভাবে মর্যাদা এবং সম্মানের সাথে সম্মানিত করে এটি জাতিসংঘের ঘোষণা।
অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এর মধ্যে অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা করা আমাদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অভিবাসীরা হলো সেই সব মানুষ যারা কর্মসংস্থান শিক্ষা নিরাপত্তা বা উন্নত জীবনের আশ্রয় নির্দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করে।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা বৈষম্য শোষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন। তাই অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা করা আজকের বিশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব। জাতিসংঘ অভিবাসিক শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন করেন।
এ কনভেনশন অনুযায়ী অভিবাসীদের জীবন স্বাধীনতা কর্মসংস্থান নিরাপত্তা এবং বৈষম্যহীন আচরণের অধিকার নিশ্চিত করা প্রতিটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জাতিসংঘ অভিবাসীদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার আন্তর্জাতিক কাঠামো তৈরি করেন।
অনেক অভিবাসিনী বিদেশে গিয়ে অমানবিক কাজের পরিবেশ মজুরির বঞ্চনা এবং আইনি জটিলতার মুখোমুখি হন। তাদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী আইন মানবিক নীতি ও যথাযথ ব্যবস্থা। পাশাপাশি প্রবাসীদের আইনগত সহায়তা দূতাবাসের সহায়তা এবং সামাজিক প্রদান করতে হবে।
অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরী। কারণ আমরা যেমন দেশের নাগরিক ঠিক তেমনি তারাও আমাদের মতই দেশের নাগরিক তারা কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে এবং বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করবে সরকার এটা মেনে নেবে না। তাই আমরা তাদের অধিকার রক্ষা করব।
অভিবাসীদের নিরাপত্তা নীতি
অভিবাসীদের নিরাপত্তা নীতি হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে বিদেশের কর্মরত বা বসবাসরত অভিবাসীদের জীবন অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত রাখা হয়। অভিবাসন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় প্রতারণা শারীরিক নির্যাতন ও আইনি জটিলতার মত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
তাই একটি কার্যকর নিরাপত্তা নীতি অভিবাসীদের সুরক্ষা ও নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতীয় পর্যায়ে অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সাধারণত প্রেরণ পূর্ব প্রশিক্ষণ ভিসা যাচাই বৈধ রিকুটিং এজেন্সির তদারকি এবং দূতাবাসের সহায়তা সেবা প্রদান করে।
এসব নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো অভিবাসীরা যাতে প্রতারণা শিকার না হয় এবং গন্তব্য দেশ নিয়ে আইনি ও সামাজিকভাবে নিরাপদ থাকতে পারে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তারা যেন যথাযথভাবে সুরক্ষিত থাকে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি চালু করেছে। অভিবাসীদের নিরাপত্তা নীতি বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিজিটাল পাসপোর্ট বায়োমেট্রিক ভিসা সিস্টেম অনলাইন অভিযোগ কেন্দ্র এবং হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে অভিবাসীরা দ্রুত তথ্য পেতে ও সমস্যা জানাতে পারেন। অভিবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানবিক দায়িত্ব। 
অভিবাসীদের অবদান ও সম্মান
অভিবাসীরা শখ করে অন্য দেশে গিয়ে বসবাস করেন না তারা সাধারণত নিজের কর্মসংস্থানের জন্য নিজের রোজগারের জন্য অর্থ উপার্জন করতে অন্য দেশে গিয়ে পাড়ি জমান নিজের মাতৃভূমিকে ছেড়ে। তারা বিদেশে গিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের পরিবার ও দেশের কথা চিন্তা করেন।
অভিবাসীদের শ্রম ও ত্যাগ বিশ্ব অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিশাল ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি অভিবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স এর উপর নির্ভরশীল। তারা বিদেশে মার্জিত আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়।
তারা যে রেমিটেন্স গুলো পাঠান সেগুলো অবকাঠাম মৌশিক্ষা স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সহায়তা করে। অভিবাসীদের অবদান দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। তাই তাদের প্রতি অবদান এবং সম্মান আমাদের কোন অংশে কম থাকা যাবে না।
অভিবাসীরা অর্থনৈতিক নয় সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা বিদেশে বিভিন্ন সংস্কৃতি ভাষা ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন। বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামাজিক সংগঠন মানবিক উদ্বেগের মাধ্যমে স্থানীয় সমাজে প্রভাব ফেলে।
তাদের এই অবদানের পরও অনেক সময় অভিবাসীরা অবহেলা শিকার হয়। তাই রাষ্ট্র ও সমাজের উচিত তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। তাদের কে নিরাপদ অভিবাসন দেওয়া তাদেরকে আইনি সহায়তা দেওয়া যেন অভিবাসীরা মর্যাদা সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে।
অভিবাসীদের সফলতার গল্প
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এটির মধ্যে অভিবাসীদের সফলতার গল্প আমাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিষয়। অভিবাসীরা তাদের জীবনকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে জীবনের সফল পর্যায়ে গেছেন এবং সফলতা পেয়েছেন তা আমাদের জানা উচিত।
অনেক অভিবাসী সীমিত সুযোগ নিয়ে বিদেশে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম অধ্যবসায় ও সফলতার মাধ্যমে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের গল্প অন্যদের এর অনুপ্রেরণা যোগায় ও প্রমাণ করে যে পরিশ্রম ও দৃঢ় মনোবল থাকলে অসম্ভব কিছুই নয়।
বাংলাদেশের বহু শ্রমজীবী অভিবাসী মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ আমেরিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কাজ করে সফল জীবন গড়েছেন। কেউ কেউ শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা হয়েছেন আবার কেউ শিক্ষা ও প্রযুক্তি কাজের নিজের দক্ষতা দিয়ে বিদেশে সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করেছেন।
অনেক অভিবাসী শুধু নিজেদের উন্নতি নয় দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তারা দেশে বিনয়ক করেছেন স্কুল হাসপাতাল ও সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। অনেকে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে অন্যদের জীবনেও পরিবর্তন করেছেন। এভাবে তারা আজ উন্নতির উচ্চ শিখরে।
নারী অভিবাসীরা এখন সাফল্য নতুন দিগন্ত ও মোচন করেছেন। তারা গৃহকর্মী থেকে শুরু করে নার্স শিক্ষক ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী হিসেবে বিদেশে কাজ করছেন। নিজের অবস্থান সুদৃহ করেছেন। তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে নারীরা ও বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে সমানভাবে সক্ষম ও যোগ্য।
পরিশেষে
অভিবাসীরা আমাদের জাতির গর্ব এবং দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। তাদের ত্যাগ পরিশ্রম ও সাফল্যের মাধ্যমে দেশ যেমন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী তেমনি বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছেন যা আমরা জানলাম আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এর আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসের প্রতিপাদ্য ২০২৫ এ অভিবাসীরা শুধু প্রবাসে নয় তাদের হৃদয়ের সব সময় দেশের প্রতি ভালোবাসা লালন করে আর সেই ভালোবাসায় তাদের সফলতার মূল প্রেরণা। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে www.jarinonlien.com এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 




অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url