ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন এবং আল্লাহর কাছে পরামর্শ জানতে হলে আপনি ইস্তেখারা সালাত আদায় হতে পারেন। এবং আপনি যদি ইস্তেখারা সালাতের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে না জানেন তাহলে আজকের আর্টিকেলে ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জেনে যাবেন।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পরে ইস্তেখারা সালাতটি আদায় করা উচিত তা না হলে সালাতের মধ্যে অনেক ভুল ত্রুটি হতে পারে। আজকের আর্টিকেলে ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কিত অনেক তথ্য পাবেন তাই বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে অবশ্যই পড়তে হবে।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
ইসলামিক নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন নতুন কাজ শুরু করার আগে ইস্তেখারা নামাজ আদায় করে নেওয়া ওটা কোন কাজ করতে গিয়ে যদি দ্বিধায় পড়ে যায় তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে ইস্তেখারা সালাত আদায় করার বিকল্প নেই।
সুন্নতের ইস্তেখারা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দা কি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের ইঙ্গিত প্রদান করেন ইস্তেখারা প্রিয় নবী সাঃ গুরুত্ব সহকারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ইস্তেখারা সালাত আদায় করার জন্য। তাই আমাদের ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজ নিয়ম দুই রাকাত নামাজ পড়া অতঃপর নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করার অর্থাৎ আল্লাহর হামদ পড়া এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করা তারপর ইস্তারা সালাতের দোয়া বলতে হয়।
ইস্তেখারার জন্য নিয়ত মনে মনে করা প্রয়োজনীয় সকল চেষ্টা করে অর্থাৎ ওসিলা গ্রহণ করা। আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকা শুধু হালাল কিংবা বৈধ বিষয়ে ইস্তেখারা সালাত আদায় করা তওবা করা অন্য কিছু গ্রহণ না করা হালাল উপার্জন করা হারাম খাবার ভক্ষণ না করা।
এই বিষয়গুলো ইস্তেখারা সালাত আদায়ের আগে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে সালাত আদায়ের অনেক বেশি ফজিলত পাওয়া যায় এই সালাত আদায় করলে মানুষ ঠিক ভুলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আল্লাহর কাছে পরামর্শ করে।
ইস্তেখারা নামাজ আদায় করতে হয় কেন
মানুষ কল্যাণ অকল্যাণ সম্পর্কে জানি না তাই নতুন কাজ শুরু করার আগে খারাপ ইস্তেখারা সালাত আদায় করে ইস্তেখারা আরবি শব্দ হলো কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা। আপনার যদি কোন কাজ করতে ইচ্ছা হয় এবং আপনি যদি সেই কাজটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে না পারেন।
তাহলে ইস্তেখারা নামাজ আদায় করুন। ইস্তেখারা নামাজ আদায় করলে আল্লাহর কাছ থেকে জানা যাবে যে সেই কাজটি আপনার জন্য কতটা ভালো হবে এবং কতটা মন্দ হবে। কোন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে এবং সে কাজ সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ ঈদ-উল আযহার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
সেই দ্বিধাদ্বন্দ দূর করার উদ্দেশ্যে সে কাজটি শুরু করার আগে দুই রাকাত ইস্তেখারা সালাত আদায় করে। ইস্তেখারা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা। তাই যদি কোন দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে কেউ পড়ে তাহলে ইস্তেখারা সালাত আদায় করে।
আল্লাহর কাছে কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা কোন কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়লে ইস্তেখারা নামাজ পড়া হয় এ নামাজ খুবই নিয়ামত পূর্ণ ও কার্যকারী ইসলামের সূচনা থেকে নামাজ মানুষের সাহায্য করেছে।
সালাত আদায় করলে আল্লাহর কাছ থেকে ভালো মন্দের পরামর্শ পাওয়া যায়। যদি কেউ ভালো অথবা মন্দ নিয়ে ভেবেচিন্তে কাজ করতে না পারে তখন সেই ইস্তেখারা নামাজ আদায় করে। এবং আল্লাহর কাছে ভালো মন্দের পরামর্শ চাই।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম
তাহলে ইস্তেখারা নামাজ আদায় করুন। ইস্তেখারা নামাজ আদায় করলে আল্লাহর কাছ থেকে জানা যাবে যে সেই কাজটি আপনার জন্য কতটা ভালো হবে এবং কতটা মন্দ হবে। কোন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে এবং সে কাজ সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে।
আরবিতে সালাহ নামে পরিচিত নামাজটি নামাজের দুটি এক অক্ষরের কাজ বা এর পরে সালাতের একটু খারাপ এই দোয়া দ্বারা সম্পাদিত হয় এ নামাজটি নিয়ম হলো দুই রাকাত নামাজ আদায় করা অতঃপর নামাজের শেষে আল্লাহর প্রশংসা করা।
তারপরে আল্লাহর হামদ পড়া এবং সর্বশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপরে দরুদ শরীফ পাঠ করা। এভাবে ইস্তেখারা সালাত আদায় করতে হয়। অন্যান্য সালাতের মতন এই সালাত আদায় করতে হয় তবে শেষে আল্লাহর নামে প্রশংসা করতে হয়।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে যদি জেনে থাকি আমরা তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবো যে ইস্তেখারা নামাজ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে আল্লাহর গাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার জন্য একটি ইবাদত।
ইস্তেখারা নামাজ নিয়ম দুই রাকাত নামাজ পড়া অতঃপর নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করার অর্থাৎ আল্লাহর হামদ পড়া এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করা তারপর ইস্তারা সালাতের দোয়া বলতে হয়।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ত
প্রত্যেকটি নামাজের শুরুতে নামাজের নিয়ত বেঁধে আরম্ভ করতে হয়। ঠিক ইস্তেখারা নামাজের শুরুতে নিয়োত বেধে নামাজটি আরম্ভ করতে হয় একটা ইস্তেখারা নামাজের নিয়ত খুবই সহজ। প্রতিটি ব্যক্তিটি নামাজ শুরুর আগে অবশ্যই ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত জেনে নিতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ত হল-
বাংলা উচ্চারনঃ উয়াইতুয়ান উসালিল্লিহি তাহালা রাকাতাই সালাতিল ইস্তেখারাতি নাফালি মুতাউয়াজ্জিহান এলাইজ্জিহাতি কাবাতিস সারিফতি আল্লাহহুয়াকবার।
বাংলা অর্থঃ আমি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে ইস্তেখারার নফল নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার নামাজ শুরু করতে হবে।
আমরা যদি নামাজের শুরুতে ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত না জানি তাহলে আমরা নামাজটি আদায় করার সময় অনেক বেশি ভুল করে ফেলবো। তাই অবশ্যই আমাদের ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত আগে থেকে জেনে নিতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজের উদ্দেশ্য হলো কোন বিষয় সঠিক নাকি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে না পারার অবস্থায় আল্লাহর কাছে উক্ত বিষয়ের সম্পর্কে পরামর্শ চাওয়া। অনেক মানুষ এই নামাজের ফল পেয়েছে সাথে সাথে এই জন্য এই নামাজের গুরুত্ব অনেক।
ইস্তেখারা নামাজ সুন্নত নাকি নফল
ইস্তেখারা নামাজ একটি নফল ইবাদত। এই ইবাদতটি আল্লাহর উদ্দেশ্যে করা হয় এবং আল্লাহর কাছ থেকে ভালো-মন্দের পরামর্শ নেওয়া হয়। হয় তবে আমাদের নামাজকে আদায় করার আগে অবশ্যই ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত জানতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজ নিয়ম দুই রাকাত নামাজ পড়া অতঃপর নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করার অর্থাৎ আল্লাহর হামদ পড়া এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করা তারপর ইস্তারা সালাতের দোয়া বলতে হয়।
আরও পড়ুনঃ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম ও সময়
সুন্নতের ইস্তেখারা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দা কি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের ইঙ্গিত প্রদান করেন ইস্তেখারা প্রিয় নবী সাঃ গুরুত্ব সহকারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ইস্তেখারা সালাত আদায় করার জন্য। তাই আমাদের ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে যদি জেনে থাকি আমরা তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবো যে ইস্তেখারা নামাজ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে আল্লাহর কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার জন্য একটি ইবাদত।
তাহলে ইস্তেখারা নামাজ আদায় করুন। ইস্তেখারা নামাজ আদায় করলে আল্লাহর কাছ থেকে জানা যাবে যে সেই কাজটি আপনার জন্য কতটা ভালো হবে এবং কতটা মন্দ হবে। কোন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে এবং সে কাজ সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে।
ইস্তেখারা নামাজের ফজিলত
সালাতুল ইস্তেখার হল আল্লাহর নিকট কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা কোন কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীন থাকলে এই নামাজটা এই নামাজ খুবই নিয়ামত পূর্ণ থেকে আরবীদের সালাহ বলে। এই নামাজের ফজিলত এবং অনেক নিয়ামত পূর্ণ।
যখন কোন ব্যক্তি দিশেহারা হয়ে পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে তখন আল্লাহর কাছে পরামর্শ চাওয়ার জন্য দুই রাকাত সালাত আদায় করে পরবর্তীতে আল্লাহ তাদের ঠিক ভুলের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন ইস্তেখারা নামাজ অনেক ফজিলত এবং নিয়ামত পূর্ণ।
ইস্তেখারা নামাজ একটি নফল ইবাদত। এই ইবাদতটি আল্লাহর উদ্দেশ্যে করা হয় এবং আল্লাহর কাছ থেকে ভালো-মন্দের পরামর্শ নেওয়া হয়। হয় তবে আমাদের নামাজকে আদায় করার আগে অবশ্যই ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত জানতে হবে।
তারপরে আল্লাহর হামদ পড়া এবং সর্বশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপরে দরুদ শরীফ পাঠ করা। এভাবে ইস্তেখারা সালাত আদায় করতে হয়। অন্যান্য সালাতের মতন এই সালাত আদায় করতে হয় তবে শেষে আল্লাহর নামে প্রশংসা করতে হয়।
সুন্নতের ইস্তেখারা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দা কি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের ইঙ্গিত প্রদান করেন ইস্তেখারা প্রিয় নবী সাঃ গুরুত্ব সহকারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ইস্তেখারা সালাত আদায় করার জন্য। তাই আমাদের ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজের সময়
কোন প্রয়োজন বা দুনিয়াবী বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হয়ে যে সালাত আদায় করা হয় তাকে সালাতুল ইস্তেখারা বলে এই নামাজ আদায়ের উত্তম সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশে যখন দোয়া কবুল করার সময় হয়।
যে ব্যাক্তি ইস্তেখারা সালাত আদায় করতে চায় তাকে অবশ্যই রাতের শেষ তৃতীয়াংশ ইস্তেখারার সালাতটি আদায় করতে হবে। এই সময়ে উপযুক্ত সময় ইস্তেখারা সালাত আদায় করার জন্য। তবে এই সালাত আদায় এর আগে অবশ্যই ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে যদি জেনে থাকি আমরা তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবো যে ইস্তেখারা নামাজ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে আল্লাহর গাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার জন্য একটি ইবাদত।
সালাতুল ইস্তেখার হল আল্লাহর নিকট কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা কোন কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীন থাকলে এই নামাজটা এই নামাজ খুবই নিয়ামত পূর্ণ থেকে আরবীদের সালাহ বলে। এই নামাজের ফজিলত এবং অনেক নিয়ামত পূর্ণ।
ইস্তেখারা নামাজ একটি নফল ইবাদত। এই ইবাদতটি আল্লাহর উদ্দেশ্যে করা হয় এবং আল্লাহর কাছ থেকে ভালো-মন্দের পরামর্শ নেওয়া হয়। হয় তবে আমাদের নামাজকে আদায় করার আগে অবশ্যই ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত জানতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজ কত রাকাত
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম হলো দুই রাকাত সালাত আদায়। অতঃপর নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করবে অর্থাৎ আল্লাহর হামটি পড়বেন তারপর নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর দরুদ শরীফ পড়বে তারপর ইস্তেখারা দোয়াটি পড়তে হবে।
ইস্তেখারার সালাত আদায় করা অনেক সহজ যদি আমরা ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জেনে নিতে পারি। তাহলে আমরা একা একাই এই সালাতটি আদায় করতে পারব নির্জনে এবং আল্লাহর কাছ থেকে পরামর্শ চাইতে পারবেন।
কোন প্রয়োজন বা দুনিয়াবী বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হয়ে যে সালাত আদায় করা হয় তাকে সালাতুল ইস্তেখারা বলে এই নামাজ আদায়ের উত্তম সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশে যখন দোয়া কবুল করার সময় হয়।
যে ব্যাক্তি ইস্তেখারা সালাত আদায় করতে চায় তাকে অবশ্যই রাতের শেষ তৃতীয়াংশ ইস্তেখারার সালাতটি আদায় করতে হবে। এই সময়ে উপযুক্ত সময় ইস্তেখারা সালাত আদায় করার জন্য। তবে এই সালাত আদায় এর আগে অবশ্যই ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে হবে।
ইস্তেখারা সালাত আদায়ের আগে অবশ্যই আমাদের আগে বুঝতে হবে যে আমরা যে বিষয়টি সম্পর্কে আল্লাহর কাছে পরামর্শ চাইছে সেই বিষয়টি আদৌ হালাল কিনা। সেই বিষয়টি আমাদের জন্য কতটা সঠিক হবে ইস্তেখারা সালাত আদায় করার জন্য।
ইস্তেখারা নামাজের দোয়া
সালাত আদায়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট দোয়া আছে সেই দোয়াটি পরলে সালাতটি সম্পূর্ণভাবে হবে এবং একদম নির্ভুল হবে তাই আমাদের অবশ্যই ইস্তেখারা নামাজের দোয়াটি জানতে হবে। এবং খুব ভালোভাবে মুখস্ত করে নিতে হবে।
ইস্তেখারা সালাতের দোয়াটি হল-
বাংলা উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্তাখিরুকা বিইলামিকা ওয়া আস্তাগদিরুকা বি কুদরতিকা ওয়া আসাআলুকা মিন ফাজলিকাল আযিম ফাইন্না তাকদিরুকা অলা তাকদিরুকা অতা-লামু অয়া লামু আন্তা-মুল গুয়ুব আল্লাহ হুম্মা ইন্নি কুন্তা আইন্না হাজাল আমরা খাইরুল লিলি দিনি আমাসাই আকিবাতি আমারি অয়া আ জিলিহি ফাকদুরুহ লি আয়েয়াসসিরুলি সুম্মা বারিক্লি ফি আ ইন কুন্তা ইন্না হা জাল আমারা সাররুল লি ফি দিনি আ মায়া সি ফাস্ফিরহু ইন্নি আস্রিফানি আনহু তাকদুল লিয়াল খাইরুল কানা সুম্মা রাজ্জাকিনি বিহ।
এই দোয়াটি বলে ইস্তেখারা সালাত আদায় করতে হয়। ইস্তেখারা সালাতের উপযুক্ত সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংসেশএই সালাতটি আদায় করা। সেই সময়ে দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময় বলে ধরা হয়। এজন্য অবশ্যই রাতে শাস্তি দেয়া আসে এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে।
ইস্তেখারা নামাজের উদ্দেশ্য হলো কোন বিষয় সঠিক নাকি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে না পারার অবস্থায় আল্লাহর কাছে উক্ত বিষয়ের সম্পর্কে পরামর্শ চাওয়া। অনেক মানুষ এই নামাজের ফল পেয়েছে সাথে সাথে এই জন্য এই নামাজের গুরুত্ব অনেক।
ইসলামিক নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন নতুন কাজ শুরু করার আগে ইস্তেখারা নামাজ আদায় করে নেওয়া ওটা কোন কাজ করতে গিয়ে যদি দ্বিধায় পড়ে যায় তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে ইস্তেখারা সালাত আদায় করার বিকল্প নেই।
পরিশেষে
ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ইস্তেখারা সালাত আদায় করার সমস্ত নিয়ম এবং নিয়ত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন।
ইস্তেখারা নামাজ অনেক বেশি ফজিলত এবং নেয়ামত পূর্ণ হওয়ায় এ সালাতকে আদায়ের জন্য অবশ্যই আমাদের নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। প্রতিদিন আপনি যদি এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে চান তাহলে www.jarinonline.com এই পেজটির নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url