সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত

সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল দিয়ে আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলটি সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত নির্ভুলভাবে আলোচনা করব।

অনেক মানুষ আছে যারা অনেক বিপদগ্রস্ত হয়েছেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছেন তারা চাইলে সালাতুল হাজত আদায় করতে পারবেন এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা যায়। আজকের আর্টিকেলে সলাতুল হাজতের নিয়ম উপজেলা জানতে পারবেন তাই পুরো আর্টিকেলটি পরুন 

মানুষের জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজন অভাব কিংবা বিপদ দেখা দেয় তখন নামাজ আদায় করে আল্লাহ পাকের সাহায্যে প্রার্থনা করা উচিত আর ইসলামে এই শিক্ষার মুসলমানদের দিয়েছি যাব পবিত্র কুরআন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর হাদিসে সুস্পষ্ট ভাবে জানা যায়।

সালাতুল হাজতের নামাজের ফজিলত অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই সালাত আদায়ের ফলে অনেক ফজিলত এবং নেয়ামত পাওয়া যায়। মানবজীবনে সব সময় সুখের এবং আনন্দের সময় থাকে না কিছু কিছু দিন সময় কষ্টের মাধ্যমেও পার করতে হয়।

মানুষের জীবনে আল্লাহ তায়ালা যেমন কষ্ট দিয়েছে ঠিক তেমনি তার কাছে সাহায্য চাইতেও বলেছেন। সালাতুল হাজতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তার কাছে ক্ষমা এবং সাহায্য প্রার্থনা করার সুযোগ করেছেন। তাই এই সালাতের গুরুত্ব অনেক।

 সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপরে এই সালাদ আদায় করা উচিত। তাহলে আমরা নির্ভুলভাবে এ সালাতটি সম্পর্কে জানতে এবং আদায় করতে পারব। প্রতিটি ব্যাংক থেকে সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

হাদিসে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ও তার সাহাবাগণ যখনই বিপদে পড়েছেন ঠিক তখনই সালাতুল হাজতে শরণাপন্ন হয়েছেন এবং আল্লাহর কাছে মন প্রাণ উজাড় করে সাহায্য চেয়েছেন।

মানুষের জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজন অভাব কিংবা বিপদ দেখা দেয় তখন নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত আর ইসলামে এ শিক্ষায় মুসলমানদের দিয়েছে যা পবিত্র কোরআন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামের হাদিসের মধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়।

রাসূলুল্লাহ সাঃ যখনই বিপদে পড়েছেন তার শাহবাগদের সাথে নিয়ে এই সালাত আদায় করতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। অবশ্যই আমাদের এই সালাত আদায়ের সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

সালাতুল হাজতের নিয়ম এবং ফজিলত সম্পর্কে জেনে রাখা এতে পরবর্তী সময় বিপদে পড়ার সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করতে পারলে এবং সাহায্য চাইতে পারে। যেহেতু আমরা মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেছে তাই আমাদের অবশ্যই আল্লাহর একমাত্র রাস্তা বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য।

তার বিপদে পড়ার সাথে সাথে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে সাহায্য এবং সেখান থেকে উদ্ধার হওয়ার পথ সম্পর্কে আল্লাহর সঠিক জ্ঞান এবং ধারণা প্রদান করবেন। তার প্রতিটি ব্যক্তির সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এবং নির্ভুলভাবে জানা উচিত।

সালাদুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে আমরা যদি জেনে থাকি তাহলে অবশ্যই আমরা নির্ভুলভাবে চালাতে আদায় করতে পারব এবং আল্লাহর কাছে উপযুক্ত সময় সাহায্য চাইতে পারবো বিপদে পড়ার পরে।

সালাতুল হাজতে আলাদা বা বিশেষ কোনো নিয়ম হয় না এ সালাতের দিনের যেকোনো সময়ে আদায় করা যায় এবং যত বেশি আদায় করা যাবে তত বেশি পাওয়া সাউয়াব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিপদে পড়েছেন তখন আর এই সালাত আদায় করেছেন।

সালাতুল হাজত দিনের যেকোনো সময় আদায় করা যায় এবং আল্লাহর কাছে মন খুলে প্রার্থনা করা যায় এবং সাহায্য প্রার্থনা করা যায়। আমরা মাঝেমধ্যেই মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হয় ঠিক তখনই আল্লাহ তায়ালার শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়।

আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া মাত্র আল্লাহ তা'আলা তাদের বান্দাদের সাহায্য প্রদান করেন তাই এই সালাতের নিয়ম উপজেলা সম্পর্কে আমরা যদি বিস্তারিত জেনে থাকি তাহলে আমরা খুব সহজে বিপদে পড়ার সাথে সাথে এ সালাত কি আদায় করতে পারে।

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান ও সাল্লিয়ালা লিল্লাহি তালা রাকাত সালাতুল হাজাদিন সুন্নাতে রাসূলুল্লাহি তায়ালা জিহান এলাইজ্জিহাতিল কাবাতিস সারিফতি আল্লাহু আকবার।

সালাতুল হাজতের নিয়তি অনেক বেশি ছোট এবং সহজ এছাড়া নিয়তি আমরা যদি একবার সর্বোচ্চ পাঁচবার রিডিং পড়ি তাহলে আমরা অবশ্যই এ সালাতের নিয়তটি আয়ত্ব এবং মুখস্ত করে নিতে পারব। তাই এ সালাতের নিয়তি আমরা বিস্তারিত এবং নির্ভুলভাবে জেনে নিব।

সালাত আদায়ের আগে সালাদের নিয়ত সম্পর্কে আমাদের জেনে নেওয়া উত্তম তা নাহলে সালাতের মধ্যে বাধা গ্রস্থ হতে পারব। প্রতিটি সালাতের জন্য নিহত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিয়ত সম্পর্কে আমরা যদি না জেনে তাহলে সালাতটি আদায় করতে যেয়ে প্রথমে বাধাগ্রস্ত হতে হবে। 

সালাতুল হাজত বা প্রয়োজনের নামাজ একটি বিশেষ নফল ইবাদত মানুষের বিশেষ কিছু প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক মানসিকভাবে কোন দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এই নামাজ পড়তে হয় সালাতুল হাজত একটি সাধারণ নফল ইবাদত নামাজ পড়া নির্দিষ্ট কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই।

কত রাকাত বা কত দিন আদায় করতে হবে এটা সম্পূর্ণই যে আদায় করবে তার উপরে নির্ভর করে তাই এ সালাতের কোন ঘর বাধা নিয়ম নেই যত ইচ্ছা যত আদায় করা যায় এবং যত বেশি সময় নেওয়ার মন চায় তত বেশি নিতে পারবে।

সালাতুল হাজত অর্থ আল্লাহর কাছে সাহায্য বা আল্লাহর কাছে কোন কিছু বিশেষভাবে চাওয়া তাই এ সালাত আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বা নির্দিষ্ট কোন দোয়া থাকেনা। শুধুমাত্র মনোযোগ সহকারে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়াই এই সালাতের মূল উদ্দেশ্য।

হাদিসে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ সাঃ যে সময় বিপদে পড়েছেন সাহাবাদের সাথে নিয়ে এই সালাত আদায়ের জন্য জায়নামাজে বসেছেন। এবং মন প্রাণ উজাড় করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন এবং তৎক্ষণিক আল্লাহ তাআলা সাহায্য প্রদান করেছেন।

এই সালাত অত্যন্ত ফজিলত এবং নিয়ামত পূর্ণ হওয়ায় এ সালাত আদায়ের জন্য সকলকে উৎসাহিত করা উচিত। তাই অবশ্যই  সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে আগে থেকে জেনে নিতে হবে যাতে করে সালাত আদায়ের সময় কোন প্রকার ভুল ত্রুটি না হয়।

হযরত হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সামনে যখন কোন গুরুত্বপূর্ণ বা কোন বিষয় বা বিপদ সম্পর্কে জ্ঞাত হতেন ঠিক তখনই সালাতে দাঁড়িয়ে যেতেন।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সালাতুল হাজত যেভাবে আদায় করতেন সালাতুল হাজত করার জন্য নির্ধারিত কোনো নিয়ম বা দিনক্ষণ বা সময় নেই অন্যান্য নামাজের মতই এটি পড়তে হয় তবে নিষিদ্ধ সময় সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্তবাদ দ্বীপ্রহর ও মাক্রু সময় বাতিল অন্যান্য যে কোন সময় এই সালাতে আদায় করা যাবে।

হাদিসে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন প্রয়োজন দেখা দেয় সে যেন উত্তম রূপে অজু করে এবং দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে।

এবং এশালাতে শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উদ্দেশ্যে দুরুদ শরীফ পাঠ করে উচ্চস্বরে এই সালাত আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট কোন নির্ধারিত কোনো সময় নেই। এ সালাত আদায়ের জন্য শুধুমাত্র মনোযোগ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।

সালাতুল হাজতের নামাজের সময় কোনো নির্ধারিত নেই যখন মন চায় তখনই আদায় করা যাবে তবে হাদিসে যেই কয়েকটি সময় এ সালাত আদায়ের হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে ঠিক সে সময় বাদ দিয়ে সালাত আদায় করা যাবে।

এই সালাত আদায় যখন কেউ বিপদে পড়ে তখন উচিত। তবে তার আগে আমাদের অবশ্যই  সালাতুল হাজতের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে হবে যাতে আমরা বিপদে পড়ায় সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করতে পারি।

সালাতুল হাজত নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যতীত যেকোনো সময়ই পড়া যায় সালাতুল হাজতে নির্দিষ্ট করার নিয়ম নেই হাজত বা প্রয়োজনের নিয়তে অন্যান্য নামাজের মতোই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয় স্বাভাবিকভাবে নামাজের মতই উত্তম ভাবে অজু করতে হয়।

এই নামাজ সাধারণত দুই রাকাত আদায় করতে হয়।হাদিসে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন প্রয়োজন দেখা দেয় সে যেন উত্তম রূপে অজু করে এবং দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে।

বাংলায় উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু হালিমুল কারীম সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আজ আলুকা মুজিবাতি রহমতিকা ওয়া আজাদ ইয়া মাগফিরাতি আল গানে মাতা মেন কুল্লি বিররু আয়াইস সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিনলা তাদলানা জাম্মান ইল্লা ফাক তা হু,ওয়ালা হাম্মান ইল্লা রাজ্জাতাহু ওয়া আলা হযরত আন হিয়া লাকা ইল্লা কাজেই তাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন।

নামাজের মধ্যে এই দোয়াটি আদায় করতে হবে যাতে করে এই নামাজটি আরো বেশি দীর্ঘ এবং সুন্দর করে তোলা যায়। প্রতিটি নামাজের মধ্যেই নির্দিষ্ট একটি দোয়া থাকে এবং সে দোয়াটি আদায় করতে হয় মুখস্ত করতে হয়।